মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

ওলামায়ে কেরামের আপত্তি, নোয়াখালীতে মাহফিল করতে পারলেন না রফিকুল্লাহ আফসারী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আদিয়াত হাসান: হিফজুল কোরআন বিভাগ নিয়ে সমালোচিত বক্তব্য দেয়ায় এবার স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে কমেডিয়ান বক্তা খ্যাত রফিকুল্লাহ আফসারীকে মাহফিলে আসতে দেয়নি প্রশাসন।

জানা যায়, গতকাল ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নতুন ব্রিজ সংলগ্ন উত্তর শরীফপুর হামিদিয়া নুরানী মাদরাসার বার্ষিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের ওয়ায়েজ ছিলেন রফিকুল্লাহ আফসারী। কিন্তু সম্প্রতি হিফজুল কোরআন বিভাগ নিয়ে ব্যঙ্গাত্বক মন্তব্য, হিফজ খানার ছাত্রদেরকে পরিমণি, এন্ড্রু কিশোর, নেইমারের সঙ্গে তুলনা এবং অসত্য তথ্য মাহফিলে মাহফিলে উপস্থাপন করার কারণে তাকে ওই মাহফিলে আনার বিষয়ে আপত্তি জানায় স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম। এরই প্রেক্ষিতে প্রশাসন কমেডিয়ান এই বক্তাকে ছাড়াই আয়োজকদের মাহফিল সম্পন্ন করতে বলেন। এরপর অন্যান্য ওয়ায়েজদের মধ্যে মাওলানা ইয়াকুব কাসেমী, মুফতি বেলাল হোসাইন আনসারী, মাওলানা তাজুল ইসলাম মাসুমের জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় সম্পন্ন হয় মাহফিল।

মাহফিল আয়োজক ও মাদরাসা সভাপতি সুজন আওয়ার ইসলামকে বলেন, প্রসাশন আমাদেরকে বলেছে মাহফিল করুন। আমরা মাহফিল বিরোধী না। তবে রফিকুল্লাহ আফসারীর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে তাই তাকে মাহফিলে আনা যাবে না। তাকে আনলে মাহফিল করতে পারবেন না।

মুলত, ওয়াজ হলো মানুষকে সদুপোদেশ দেয়া ও তাদের কল্যাণের পথে ডাকা। কিন্তু এই মঞ্চকে কমেডি ও কৌতুকের জন্যই বেছে নিয়েছেন বক্তা রফিকুল্লাহ আনসারী। তার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো হাস্য-কৌতুকে শ্রোতাকে আমোদিত করা। তিনি কুরআন ও হাদিসের আলোচনা করেন কৌতুকের ছলে। জাহান্নামের ভয়াবহ চিত্রও উপভোগ্য হয়ে ওঠে তার বর্ণনায়। একইভাবে তিনি কেয়ামতের দৃশ্য ও ফেরেশতাদেরও কৌতুক করতে ছাড়েন নি। ওয়াজে তিনি মহান ফেরেশতা ইসরাফিলকে রেফারি, আদম আ. কে মামলার আসামি হিসেবেও উল্লেখ্য করেন।

ইউটিউবে ছাড়া তার ওয়াজের ভিডিওর শিরোনামগুলো দেখলেও ব্যাপক বিনোদিত হন ভিজিটররা। কয়েকটা শিরোনাম এমন, ‘বিয়া যে এত মজা আগে জানলে আব্বার আগে বিয়ে করতাম!’, ‘নোয়াখালী হুজুরের চরম হাসির ওয়াজ, হাসিতে বাধ্য থাকবেন’, ‘টেলিভিশন শরীফ বাই রফিকুল্লাহ আফসারী’, ‘নোয়াখালী ভাষায় চরম হাসির ওয়াজ তোরা ভেটকাস কেনু’, ‘দিল ঠাণ্ডা না হলে এমবি ফেরত’।

অনেকেই রফিকুল্লাহ আফসারীর হিফজ খানা বিদ্বেষ নিয়ে হতাশ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে লোক ফেরেশতা, নবী রাসুল ও মহান রবকে নিয়ে হাস্যরস এবং বেয়াদবি করতে পারে তার কাছে হিফজুল কোরআন বিভাগ কোনো আহামরি বিষয় নয়। এছাড়া তার এসব মন্তব্য বিচ্ছিন্ন কিছু কথা বলে মন্তব্য করেছেন বেফাকের সদ্য নিযুক্ত মহাপরিচালক শিক্ষাবিদ মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।

ওয়াজের ময়দান মুক্ত হোক কমেডি ও অযাচিত আলোচনা থেকে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষজন।

কেএল/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ