আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে চলন্ত বাস থেকে ফেলে আবু সায়েম মুরাদ নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ করেছে পরিবার। এ ঘটনায় চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত মুরাদ মতিঝিলের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিনিটে মতিঝিলে নিজ কর্মস্থল থেকে ৮ নম্বার যাত্রীবাহী বাসে যাত্রাবাড়ীতে ফেরার পথে, বাসার সামনে নামার সময় হেলপার ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে পড়ে যান ওই যুবক। নিচে পড়ে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন তিনি।
এ সময় উত্তেজিত জনতা ঘাতক বাসটিকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং চালক ও হেলপারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি ও অভিযুক্ত চালক-হেলপারকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্ধ্যায় মুরাদকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। আহত ড্রাইভার ও হেলপার পুলিশ হেফাজতে ঢামেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহতের বড় ভাই আবু সাদাত সায়েদ জানান, মুরাদ মতিঝিলে একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন। বিকেলে তিনি ৮ নম্বর বাসে করে মতিঝিল থেকে যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরছিলেন। শহীদ ফারুক রোডে বাসের কন্ট্রাকটার তাকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।
মুরাদের বাবার নাম মৃত হেদায়েত উল্লাহ। শহীদ ফারুক রোডের টনি টাওয়ার বিপরীতে পাশে নিজ বাড়িতে থাকতেন অবিবাহিত মুরাদ। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে মুরাদ ছিলেন তৃতীয়।
-এটি