আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দল নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হবে না জেলা প্রশাসকদের। নিজেরাই গোপনে তদন্ত ও বাছাই করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর।
আরেক কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেন, শনিবার (৮ অক্টোবর) ডিসি-এসপিদের আচরণে বিব্রত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। মাঠ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ একেবারে অমূলক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শনিবার ডিসি-এসপিদের সাথে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন। এ সময় কমিশনার আনিছুর রহমান মাঠ কর্মকর্তাদের অক্ষম বলায় ক্ষেপে যান কর্মকর্তারা। তাদের প্রবল আপত্তির মুখে বক্তব্য থামিয়ে দিতে বাধ্য হন আনিছুর রহমান।
সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত কারও সাথে মাঠ প্রশাসনের এমন আচরণে প্রশ্ন ওঠে, নির্বাচনের সময় ইসি তাদের কতোটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে। এ ঘটনায় কমিশন বিব্রত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার রাশিদা সুলতানা।
তিনি বলেন, এ জিনিসগুলো যে ঘটে না, তা কিন্তু না। প্রসঙ্গগুলো কিন্তু সত্যি। আমার মনে হয়েছে, বলার ধরন হয়তো গ্রহণ করতে পারেনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশন তো অবশ্যই বিব্রত; এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াতেই পারবো না, এটা আমি মনে করি না।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির নির্দেশ পালনে বাধ্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা। কিন্তু অভিযোগ আছে, অনেক সময় দল নিরপেক্ষ আচরণে ব্যর্থ হন তারা। তাই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকদের না দেয়ার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। সে অনুযায়ী এবার নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছে ইসি।
পাশাপাশি, দল নিরপেক্ষ জেলা প্রশাসক খুঁজতে আলাদা তদন্ত করবে কমিশন। এছাড়া কমিশন জানিয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ডিসি-এসপিদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো আলমগীর বলেন, যদি কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসে যে, একদমই পক্ষপাতদুষ্ট, তার কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না- এমন লোককে আমরা দায়িত্ব দেবো না। তা সে যেই হোন না কেন। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা নেই। তবে আমাদের নিজেদের কর্মপ্রক্রিয়া আছে। নিজেদের লোকজন আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ফিডব্যাকও আছে। সেসবকে কাজে লাগানো হবে।
-এটি