আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলেছে, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ। সেই তুলনায় বাংলাদেশে বেশ কম—মাত্র ৮.৩ শতাংশ। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি অনুভব করেনি, খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কাও নেই।
এই সময় বিভিন্ন দেশে নানা বাণিজ্যিক বাধা-নিষেধ এলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বাধা আসেনি। সংস্থাটির ধারণা, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি হবে সাড়ে ১৫ শতাংশ।
গত সোমবার বিশ্বব্যাংকের ফুড সিকিউরিটি আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানি শুল্ক কমিয়েছে, কৃষিতে বাজেট বরাদ্দ ও সারে ভর্তুকি বাড়িয়েছে এবং রপ্তানিকারকদের নগদ প্রণোদনা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তা মোকাবিলায় কৃষিনীতি সামঞ্জস্য করেছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।
এশিয়ার অন্য দেশগুলোর বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ও নেপালে বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতি দেখা যায়নি। পাকিস্তানে গম ও চালের উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে (সারের অভাব এবং তাপপ্রবাহের কারণে)। ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় অভ্যন্তরীণ খাদ্য সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় সারের ঘাটতির কারণে কৃষি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে এবং খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার অভাব রয়েছে। সার এবং জ্বালানির ঘাটতি খাদ্য সরবরাহকে আরো সীমিত করবে বলে আশঙ্কা করেছে বিশ্বব্যাংক।
-এএ