আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসরায়েলি সেনাপ্রধান আভিভ কোহাভি মরক্কো সফর করেছেন। এ সময় মরক্কোর প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
তার এ সফর ইসরায়েল ও মরক্কো সামরিক সম্পর্ক জোরদার করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উত্তর আফ্রিকার দেশে এটি কোনো ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের প্রথম সরকারি সফর। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
ইসরায়েলি সেনাপ্রধান মরক্কোর রাজকীয় সশস্ত্র বাহিনীর মহাপরিদর্শক বেলখির এল ফারুকের সাথে দেখা করেছেন। এছাড়া মরক্কোর প্রতিরক্ষা প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা মিনিস্টার ডেলিগেট আবদে লাতিফ লাউদিয়ি এবং গোয়েন্দা প্রধান ব্রাহিম হাসানির সাথেও তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দুই পক্ষের আলোচনায় ইসরায়েলি সেনাপ্রধান মরক্কোতে যৌথভাবে প্রতিরক্ষা শিল্প প্রকল্প স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকগুলোতে সামরিক অনুশীলন এবং প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অপারেশনাল এবং গোয়েন্দা- উভয় ক্ষেত্রেই সামরিক সহযোগিতার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছে দুই পক্ষ।
ইসরায়েল-মরক্কো সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ: দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা শুরুর পর মরক্কো ২০০০ সালে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু দুই দশক পরে আব্রাহাম অ্যাকর্ডের মাধ্যমে পুনরায় ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে দেশটি। আর এর বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম সাহারার ওপর রাবাতের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
তার পর থেকে মরক্কো-ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ গত বছরের নভেম্বরে মরক্কো সফর করেন। সফরে তিনি রাবাতের জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শিল্প থেকে উচ্চ-প্রযুক্তি রপ্তানি উপলক্ষ্যে একটি সুরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
গত মাসে ইসরায়েলি সামরিক পর্যবেক্ষকরা প্রথমবারের মতো বার্ষিক ‘আফ্রিকান লায়ন’ নামে একটি সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। তার আগে মার্চ মাসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল রাবাতে মরক্কোর সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিল। এই সফরটি ছিল ২০২০ স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির পর প্রথম সফর। এসময় দুই দেশ সামরিক সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
-এটি