আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইউরোপে দাবানল পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ব্রিটেন, পর্তুগাল, স্পেন ও ফ্রান্সের পর শনিবার ক্রোয়েশিয়া ও গ্রিসেও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েক দিনের টানা গরমের ফলে সৃষ্ট দাবানলে রবিবার (১৭ জুলাই) ফ্রান্সের শতাধিক হেক্টর জমির ফসল পুড়ে যাচ্ছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ পরিস্থিতিতে লোকজনকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দাবানল ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী। কিন্তু দাবানল কমার কোন লক্ষণ নেই।
জানা গেছে, ফ্রান্স সেদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে দাবানলের হুমকিতে থাকা আরো ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। স্পেন, ক্রোয়েশিয়া এবং গ্রিসেও দাবানলের বিস্তৃতি বেড়েছে।
পর্তুগালের উত্তরাঞ্চলে স্প্যানিশ সীমান্তের কাছে ফোজ কোয়া এলাকায় পানি নিক্ষেপকারী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একজন পাইলট মারা গেছনে। এসব ঘটনায় আহত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক দিনে পর্তুগালে গরমজনিত কারণে অন্তত ২৩৮ জন মারা গেছে।
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিম গিরোন্ড অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে ১২ হাজারেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে দাবানল আরও ঘন ঘন, আরও তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। শিল্পযুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবীর ইতোমধ্যেই প্রায় ১ দশমিক ১ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার কার্বন নির্গমন হ্রাসে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে থাকবে।
আবহাওয়ার খবরে বলা হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। দাবানলের আগুন ও ভ্যাপসা গরমে এসব দেশে কয়েক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ শতাধিক ছাড়িয়েছে। গরম থেকে বাঁচতে লোকজনকে বেশি বেশি পানি পান ও ঘরের মধ্যে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া এই ধরনের বৈরী আচরণ করছে। পর্তুগাল ও স্পেনের লাখ লাখ গাছ ও ফসল পুড়ে গেছে। এসব দেশের হাজার হাজার বসতবাড়িও আগুনে পুড়ছে। তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। সূত্র- বিবিসি।
-কেএল