আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করায় দুই অধ্যাপককে খুন করেছে ইরাকের এক ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। ইরাকের কুর্দি আঞ্চলিক রাজধানী ইরবিলে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। খবর আরব নিউজ।
প্রাদেশিক গভর্নর ওমেদ খোশনাউ সাংবাদিকদের জানান, সোরান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে মঙ্গলবার ভোরবেলা তার বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে সালাহউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন কাওয়ান ইসমাইলকে নিজ ক্যাম্পাসে হত্যা করা হয়। দুজনের হত্যাকারী একই ছাত্র।
পুলিশ ধারণা করছে, মূলত সোরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে হত্যা করতে চায়নি বন্দুকধারী শিক্ষার্থী। বরং এক্ষেত্রে তার স্ত্রীই ছিলেন বন্দুকধারী শিক্ষার্থীর টার্গেট, যিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক।
তিনিই ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়ি থেকে দূরে থাকায় তিনি বেঁচে যান এবং তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
অন্যদিকে বন্দুকধারীর দ্বিতীয় শিকার ছিলেন সালাহউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজের ডিন কাওয়ান ইসমাইল। তাকে তার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই হত্যা করা হয়। তিনি ওই শিক্ষার্থীকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাঁধা দিয়েছিলেন। ওই অধ্যাপককে পাঁচবার গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। তার দেহরক্ষীও হামলায় আহত হন।
জানা গেছে, কাওয়ান ইসমাইলকে হুমকি দেওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে আগেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধ চলায় ইরাকি জনগণের হাতে এখনও প্রচুর অস্ত্র রয়ে গেছে। তুচ্ছ বিষয়ে গোলাগুলি, গুলি করে হত্যা- এগুলো সেখানকার স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চার কোটি মানুষের দেশে ৭৬ লাখ লোকের হাতে অস্ত্র আছে।
-এটি