আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কিছু আরব দেশের সম্পর্ক স্থাপনের প্রক্রিয়াটি ‘বিপজ্জনক তৎপরতা’হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আজ রোববার ইরানের রেডিও নেটওয়ার্ক পার্স টুডের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। এর আগে গতকাল শনিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ইসলামিক কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন হানিয়া।
তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েলকে মোকাবিলা করার একমাত্র উপায় যথাযথ প্রতিরোধ আন্দোলন। এ ছাড়া মার্কিন-ইসরায়েলি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে একটি কূটকৌশল বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে।
ইসমাইল হানিয়া বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হলে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়বে।
সেখানে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ইরান, হিজবুল্লাহ ও হামাসকে মোকাবিলা করার জন্য সামরিক জোটের মাধ্যমে ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে একীভূত করার চেষ্টা চলছে। তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করে প্রতিরোধ ফ্রন্টকে সহযোগিতা করার জন্য আঞ্চলিক আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানতেজ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইসরায়েল ও তার আরব বন্ধুদের নিয়ে ইরানবিরোধী একটি সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব দেওয়ার পর হানিয়া এ বক্তব্য দিলেন। গত মঙ্গলবার গানতেজ এক বক্তব্যে মিশর ও জর্দানের পাশাপাশি পারস্য উপসাগরীয় কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে তেল আবিবের সামরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সহযোগিতা শক্তিশালী করার জোর চেষ্টা চলছে।
২০২০ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয় ইসরায়েল। এরপর সুদান এবং মরক্কো তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানায় সৌদি আরব। ধারণা করা হচ্ছে, পরবর্তী যে আরব দেশটি তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে সেটি সৌদি আরব।
-এটি