আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী আসামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। এখনও পর্যন্ত আসাম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে এখন পর্যন্ত মোট প্রাণহানি ঘটেছে ১৩১ জনের। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
বন্যার কারণে আসামের রাজধানীর সাথে হাফলং এলাকার ট্রেন চলাচল আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিনই মারা পড়ছে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের বিরল প্রাণী। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শিগগিরই দুর্গত এলাকাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে যাবে একটি দল। তারপরই চূড়ান্ত হবে রাজ্যগুলোকে ত্রাণ এবং সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিলের পরিমাণ।
আসামের ৩৩টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ৮১০টি অস্থায়ী পূনর্বাসন কেন্দ্রে ২৩ লাখেরও বেশি বন্যা দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। মেঘালয়ে বন্যার সাথে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে তিনটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে নদী বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহওয়া দপ্তর গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টির কমলা সংকেত জারি করেছে।যার ফলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বন্যা কবলিত রাজ্যগুলোকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এনটি