আব্দুল্লাহ আফফান: ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের লাবান এলাকায় মদিনা মসজিদ অবস্থিত। এ মসজিদের গম্বুজ ও মিনার 'কাঁচ' দিয়ে তৈরি। মদিনা মসজিদটি ১২০ ফুট উঁচু। এটি ভারতের প্রথম এবং একমাত্র মসজিদ যেখানে কাঁচের গম্বুজ এবং মিনার রয়েছে।
মসজিদ সংলগ্ন ইসলামিক ইনস্টিটিউট, এতিমখানা ও পাঠাগারও রয়েছে। মসজিদের ভেতরে মহিলাদের নামাজের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। এই মসজিদের অধীনে একটি কলেজও পরিচালিত হয়। এই কলেজের নাম উমশিরপি কলেজ (Umshyrpi College)। এই কলেজটি মসজিদের কাছে অবস্থিত। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে।
এই মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সাইয়্যিদুল্লাহ নুনগ্রাম। তিনি মেঘালয় আইন পরিষদের সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী। তিনি শিলং মুসলিম ইউনিয়নের (এসএমইউ) সাধারণ সম্পাদকও।
তিনি বলেন, এই মসজিদটি নির্মাণের সময় কোনো স্থপতি ছিলেন না। এটি স্থানীয় রাজমিস্ত্রি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। 'মদিনা মসজিদ' তৈরি হলে আশেপাশের মানুষ এটি দেখতে আসতে শুরু করে। তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্ব থেকে মানুষ মসজিদ দেখতে আসছেন, কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারী এবং লকডাউনের কারণে পর্যটকদের আগমন কমে গেছে।
মদিনা মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ রয়েছে। সন্ধ্যায় মসজিদের গম্বুজ ও মিনার আলোকাজ্জ্বল করা হয়। এক নজর দেখার জন্য ঈদগাহ প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে আসে। তারা এর শৈলী ও সৌন্দর্যের প্রশংসা করে।
উল্লেখ্য, কাঁচের গম্বুজ বিশিষ্ট মদিনা মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০০৭ সালের ২ নভেম্বর এবং ঈদগাহ উদ্বোধন করা হয় ২০০৮ সালের ২৯ এপ্রিল। ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক ও আইন মন্ত্রী সালমান খুরশিদ এবং কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভিনসেন্ট পালা মদিনা মসজিদটি উদ্বোধন করেছিলেন।
অন্যদিকে, মসজিদে অবস্থিত লাইব্রেরিতে শুধু ইসলামী বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন বইই নয়, বিপুল সংখ্যক ছাত্র ও গবেষণা স্কলারদের জন্য বই ও ম্যাগাজিনও রয়েছে। এটা সবার জন্য বিনামূল্যে। যে কেউ এখানে এসে পড়াশোনা করতে পারে। ছাত্ররা এখানে লাইব্রেরি ব্যবহার করে।
-কেএল