হুসাইন আহমদ।।
ঈদ মানে আনন্দ, উল্লাস ও খুশি। ঈদ আসে সবার মাঝে খুশি ও আনন্দের জোয়ার নিয়ে। তাই ঈদ মানেই খাওয়া-দাওয়া, নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটা ও বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি ইত্যাদির বড়ই ব্যস্ততা। যখন ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্করা, সবাই ঈদের আনন্দকে বরণ করে নেওয়ার জন্য উদ্গ্রীব থাকে অধীর আগ্রহে। কারণ, ঈদ মুসলমানদের ধর্মীয় সবচেয়ে বড় উৎসব। ঈদ হলো দু'টি এক. ঈদুল ফিতর। দুই. ঈদুল আজহা।
এবারও সবাই এই ঈদকে আনন্দ-উল্লাসে কাটানোর জন্য সব রকম আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেকের তো সবকিছু করা এক রকম শেষই। কিন্তু একটি কথা বলতে হয়, আসন্ন এই ঈদে আমরা যারা আনন্দ-উল্লাস ও মজা করার জন্য দামি দামি মার্কেট, বাজার ও ভালো-মন্দ খাওয়া-দাওয়ার জন্য অনেক কিছু কিনবো, অনেক কিছু করবো! আমাদের এই আনন্দ ও মজার সাথে যদি আমাদের সমাজের ও আশেপাশের প্রতিবেশীদের একটু শরিক করি, প্রতিবেশীদের একটু খোঁজ-খবর নেই৷ যাদের মধ্যে দুই শ্রেণির মানুষ রয়েছে।
এক. যারা অসহায়। তারা কোথাও কোথাও হাত পাতে ও কখনো কিছু কিছু পায়ও। কিন্তু দুই. এমন শ্রেণির মানুষ। যারা শত প্রয়োজন ও অভাবের মধ্যেও কখনো কারো কাছে মুখফুটে কিছু চায় না, কখনো প্রকাশও করে না। তাদের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত হয়।
তাদের দেখলে মনে হবে, বেশ ভালোই আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সমাজের এই শ্রেণির মানুষের খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করে, খুবই অসহায় অবস্থায় চলে। তাই আসন্ন এই ঈদে যাদের সামর্থ্য আছে, তারা যদি এসকল অসহায়, গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাহলে তাদের ঘরে ঈদের আনন্দ ও উৎসব হবে, তাদের মুখে ও প্রাণে হাসি ফুটবে। আর তখন তাদের হাসিতে সকলের আনন্দটাও দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণ হবে।
অতএব, আসন্ন ঈদুল ফিতরের ঈদ আনন্দকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ও সকল প্রাণে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ঈদ আনন্দের হাসি ফোটাতে ব্যক্তিগতভাবে নিজে ও সামর্থ্যবান শ্রেণিকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমাদের এই ঈদ উৎসব হবে আনন্দমুখর ও প্রাণবন্ত। সকলের জন্য এই শুভ কামনা ও দোয়া রইলো।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী আইন ও গবেষণা বিভাগ (ইফতা-দ্বিতীয় বর্ষ), দারুস-সুন্নাহ মাদরাসা টাংগাইল।
এনটি