আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন,সরকার অল্প সংখক মানুষের জন্য দেশে মদের লাইসেন্স দিয়েছে। অথচ ইসলামি রাষ্ট্র বাস্তবায়নের প্রতি মানুষের ভুল ধারণা রয়েছে। কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্র বাস্তবায়ন হলে দেশে শান্তি বিরাজ করবে। নারী অধিকার রক্ষা হবে।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) বাদ জুমা গুলিস্তানের শহীদ মতিউর রহমান পার্কে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
এ সময় তিনি বলেছেন, ইসলামি আন্দোলন প্রতিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে ও করবে। সে লক্ষ্যে প্রতিটি ঘরে হাতপাখার দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে, ভোটার তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ক্ষমতা শেষের দিকে। সরকার বর্তমান জাতীয় সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হলো এই সংসদ বহাল রেখে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ মেনেও নেবে না। এ সময় সব দলের অংশগ্রহণে ও পরামর্শে জাতীয় সরকার গঠনেরও দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, অতীতে অনেক নির্বাচন হয়েছে, দেশ পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচিত ও অনির্বাচিত দুই সরকারই দেখেছে। বর্তমান সরকার অনৈতিকভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করেছে। দেশের মানুষ আজ আতঙ্কিত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করেছে।
দেশে ইসলামি সরকার প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার অল্প সংখক মানুষের জন্য দেশে মদের লাইসেন্স দিয়েছে। অথচ ইসলামি রাষ্ট্র বাস্তবায়নের প্রতি মানুষের ভুল ধারণা রয়েছে। কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্র বাস্তবায়ন হলে দেশে শান্তি বিরাজ করবে। নারী অধিকার রক্ষা হবে। যারা দেশকে ভালোবাসে, তারা জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করতে পারে না, মানুষকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করতে পারে না, বিদেশি শক্তির গোলামি করতে পারে না। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাপ্রেমীদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিকদের শক্তভাবে লড়তে হবে।
সমাবেশ থেকে আগামী ১ জুলাই ঢাকায় ও এর আগে দেশব্যাপী বিভাগীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এ সময় ইসলামী আন্দোলন ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন
এনটি