জুলফিকার জাহিদ।।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারি মিত্র এবং অ্যাসেম্বলির সদস্যরা বিরোধীদের সাথে যোগ দেওয়ার পরে এবং প্রস্তাবের সম্ভাব্য সাফল্যের পরে বিরোধী জোট এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেনি।
তবে বিরোধী নেতারা ইতিমধ্যেই বিরোধী দলীয় নেতা ও পিএমএল-এন (পাকিস্তান মুসলিম লীগ) নেতা শাহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী বলা শুরু করেছেন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী এবং রানা সানাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেছেন। রাষ্ট্রপতি পদে মাওলানা ফজলুর রহমানের নামও উচ্চারণ করতে শোনা গেছে।
বুধবার বিরোধী দলগুলোর সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়াল ভুট্টোও বলেছেন, শাহবাজ শরীফ শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী হবেন।
একইভাবে রাষ্ট্রপতি পদে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও পিডিএম (পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির নামও উঠে এসেছে।
পাকিস্তানের এক সাংবাদিক দাবি করেছেন যে মাওলানা ফজলুর রহমান বিরোধীদের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি হতে পারেন এবং এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসা হয়ে গেছে।
এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক সালিম সাফি শাহবাজ শরীফকে প্রশ্ন করেছিলেন, মাওলানা ফজলুর রহমান কি দেশের রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন? উত্তরে শাহবাজ শরীফ বলেছেন, এই মুহূর্তে বিরোধীদের টেবিলে সব পদের বিকল্প রয়েছে।
এর আগে, একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে বিরোধীরা দেশটির চার প্রদেশের গভর্নরও পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বেলুচিস্তান থেকে সমর্থন দেওয়া দলগুলোর দাবিও পূর্ণ করা হবে যার সিদ্ধান্ত নেবেন মাওলানা ফজলুর রহমান এবং আখতার মেঙ্গল ।
সূত্র: ডেইলি জং
এনটি