আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার অধিবেশনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।
সোমবার কলকাতায় বিবাদী বাগে বিধানসভার ভবনে চলমান বাজেট অধিবেশনে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
হাতাহতিতে চুঁচড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার আহত হয়েছেন। তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিরোধী দল বিজেপির সংসদীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীই অসিত মজুমদারকে ঘুসি মেরেছেন।
এরপরই বিরোধী দলনেতাসহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে পরবর্তী বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত সাসপেন্ড করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া সাসপেন্ড হওয়া অপর চার বিরোধী দলীয় বিধায়করা হলেন মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ এবং নরহরি মাহাতো।
সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনের প্রথম থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে গেরুয়া শিবির। বীরভূম জেলার বগটুইয়ে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির বিধায়করা। বাধা দিলে শাসক-বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় বলে অভিযোগ। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়কদের উত্তেজক আচরণ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
পরে দেখা যায় হাতাহাতির জেরে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার আহত হয়েছেন। নাক ফেটে প্রচুর রক্তপাত হয় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
এই ঘটনার পরই বিজেপি বিধায়করা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে। পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতোকে মারধর করা হয়েছে বলে বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।
এই ঘটনায় বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করার দাবি করেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, উদয়ন গুহসহ শাসক দলের বিধায়করা। পরে সেই প্রস্তাব ধ্বনি ভোটে বিধানসভায় পাস হয়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় হাতাহাতির ঘটনায় চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড করেন বিরোধী দলনেতাসহ পাঁচ জন বিজেপি বিধায়ককে। যতদিন বিধানসভার এই অধিবেশন চলছে অর্থাৎ চলতি অধিবেশন যতদিন পর্যন্ত স্থগিত না করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই সাসপেনশন বলবৎ থাকবে।
হাতাহাতির বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এইরকম গুন্ডাবাজ বিরোধী দলনেতা আগে কোনওদিন দেখিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তথ্য দিয়ে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করতেন। এছাড়াও আরও অনেক বিরোধী দলনেতাকে আমরা দেখেছি। কিন্তু এরকম অরাজকতা সৃষ্টিকারী বিরোধী দলনেতা কোনোদিন দেখিনি।’
সূত্র : বর্তমান
এনটি