আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অবশেষে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন হয়েছে। সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সদস্য ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) নেতা শাহবাজ শরিফ।
সোমবার পার্লামেন্টে এই অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের পরই ৩১ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করেন ডেপুটি স্পিকার কাশেম খান সুরি।
এক ঘোষণায় তিনি বলেন, “এই প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক শুরু হবে ৩১ মার্চ। পার্লামেন্ট অধিবেশন ওইদিন বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মুলতবি করা হল।”
বিরোধী নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ প্রস্তাবটি তোলার পর এর পক্ষে থাকা এমপিদের সংখ্যা গণনার জন্য তাদের দাঁড়াতে বলেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি।
সদস্যদের সংখ্যা গণনার পর অনাস্থা প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা দেন ডেপুটি স্পিকার।
সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে উপস্থিত এমপিদের ২০ শতাংশের সমর্থন পেলেই প্রস্তাবটি আলোচনা বা ভোটাভুটির জন্য গৃহীত হয়। তবে কোনও প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে এ নিয়ে ভোটাভুটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এদিন অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ আগে স্পিকার বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, সেখানে স্পিকার আসাদ কায়সার তাদের আশ্বস্ত করে জানান, অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে, তার আগে নয়।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৪ ধারার অধীনে বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা ভোটের জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েটে প্রস্তাব জমা দেয়।
সংবিধানের ৫৪ ধারা অনুসারে, ২৫ শতাংশ সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত কোনো প্রস্তাব যদি জমা দেয় হয় তবে স্পিকারকে ১৪ দিনের মধ্যে ওই বিষয়ে অধিবেশন আহ্বান করতে হয়।
এই ধারা অনুসারে ২২ মার্চ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশনের আহ্বানের শেষ দিন ছিলো। এর একদিন আগেই ২১ মার্চ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সেক্রেটারিয়েট থেকে শুক্রবার অধিবেশন আহ্বান করা হয়।
শুক্রবার নির্ধারিত সময় সকাল ১১টায় অধিবেশন শুরু হলেও স্পিকার আসাদ কায়সার সোমবার সকাল ৪টা পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করেন।
সূত্র: জিও নিউজ ও ডন।
এনটি