জুলফিকার জাহিদ।।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বলেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো যে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছে এই ইস্যুতে জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার একজন সরকারি কর্মচারীর ভূমিকা পালন করেছেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুখপাত্র আসলাম ঘুরি বলেছেন,স্পিকার আসাদ কায়সার সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত নিজের ইচ্ছেমত সব করেছেন, জনমতকে অগ্রাহ্য করেছেন এবং দায়িত্ব নেওয়ার সময় যে শপথ গ্রহণ করেছিলেন তা শপথ ভঙ্গ করেছেন।
তিনি বলেছেন, বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে অবশ্যই সফলতা আসবে। বিলম্ব ও কৌশল অবলম্বন করে সরকারকে রক্ষা করা যাবে না।
প্রসঙ্গত,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন না করেই জাতীয় পরিষদের বহুল-প্রত্যাশিত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার আসাদ কায়সার।
জাতীয় পরিষদের সদ্যপ্রয়াত সদস্য খায়াল জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্পিকার আসাদ কায়সার বলেন, জাতীয় পরিষদের কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে পার্লামেন্টের রীতি অনুযায়ী অধিবেশন মুলতবি করতে হয়। আগামী সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেল চারটা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন তিনি।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, অনাস্থা ভোটে লড়াইয়ের উদ্দেশ্য একটিই, তাহলো বিরোধীদের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকে মুক্ত করে দেওয়া, কিন্তু যেদিন তাদের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকে মাফ করে দেওয়া হবে সেদিন পাকিস্তানের সাথে সব থেকে বড় গাদ্দারী করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা কারো সামনে মাথা নত করব না এবং কারো গোলামী করবো না।
এ সময় তিনি বলেন, তিন ইঁদুর মিলে আমাকে শিকার করতে চাইছে, ওই ইঁদুরেগুলোকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেছেন, ভালো-মন্দের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা কাউকে নিরপেক্ষ থাকার অনুমতি দেননি। অথবা পিছু হটে এ কথা বলার অনুমতি দেননি যে, আমরা কারো সাথে নেই।
তিনি বলেন, যে সমাজে আমর বিল মারুফ-এর উপর আমল করা হয় সেখানে পলাতক আসামীকেও তার দল ছেড়ে যায়।
সূত্র: বিবিসি উর্দু।
এনটি