আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১ এপ্রিল থেকে পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মালয়েশিয়া। কিন্তু এরইমধ্যে আবারও দেশটি ভ্রমণে নতুন কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মালয়েশিয়ান সিভিল এভিয়েশন।
স্থানীয় সময় রোববার (১৩ মার্চ) মালয়েশিয়ার সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে ইস্যু করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো যাত্রী যদি করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ না নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তাকে কোভিড টেস্টের পাশাপাশি চার দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর যদি পূর্ণাঙ্গ ডোজ না নেওয়া হয় তাহলে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি থাকতে হবে চার দিনের কোয়ারেন্টাইনে। তবে পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা নিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে যাত্রার দুইদিনের মধ্যে করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে এবং মালয়েশিয়ায় পৌঁছে ভ্রমণকারী তার নিজ খরচে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সনদ নিতে হবে।
আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২ মাসে কোনো যাত্রী যদি একবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তাকে যাত্রার ২ দিন আগে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে হবে। তাদের কোনো কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছে তাকে নিজ খরচে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
এছাড়া যেসব যাত্রী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে করোনার টিকা নেননি তাদের যাত্রার দুইদিনের মধ্যে করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে বলা হয়েছে। সে সঙ্গে মালয়েশিয়া পৌঁছে যাত্রীকে থাকতে হবে নিজ খরচে ৫ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।
কোয়ারেন্টাইনের ৪র্থ দিন তাদের আরটি-পিসিআর ও ৫ম দিন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে। দুই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই ভ্রমণ করতে পারবেন মালয়েশিয়ার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে।
বর্তমানে দেশটিতে শুধুমাত্র জরুরি অবস্থা, দাপ্তরিক ব্যবসা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মতো কেস-টু-কেস ভিত্তিতে বিদেশিদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত রয়েছে।
-এএ