আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে একের পর এক আক্রমণ করছেন বিরোধীরা। মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে বিরোধীদের আক্রমণের কোনও জবাবই দিতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী । অবশেষে মুখ খুললেন ইমরান। বললেন , 'আলু এবং টমেটোর দাম পরীক্ষা করার জন্য রাজনীতিতে যোগ দেইনি।'
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সংসদে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার জন্য বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করেছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাঞ্জাব প্রদেশের হাফিজাবাদ শহরে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন, টাকা ব্যবহার করে যারা সংসদের সদস্যদের কেনার চেষ্টা করছে ও সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রুখে দাঁড়াবে দেশের মানুষ ৷
পিটিআই রিপোর্ট অনুসারে ইমরান বলেছেন যে, পাকিস্তান তার মেয়াদের অবশিষ্ট সময়ে একটি মহান দেশ হয়ে উঠতে চলেছে এবং সরকার ঘোষিত প্রণোদনাগুলি শিগগিরই ফলাফল দেবে বলে তিনি আশাবাদী।
৬৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ ইমরান খান বলেছেন যে, ২৫ বছর আগে তিনি দেশের তরুণদের স্বার্থে রাজনীতিতে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নিজের কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নয়। কারণ ইতিমধ্যেই জীবনের সমস্ত কিছু তিনি পেয়েছেন , যা নিয়ে এক ব্যক্তি স্বপ্ন দেখতে পারে।ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান বলেন, "আমি আলু এবং টমেটোর দাম জানার জন্য রাজনীতিতে যোগদান করিনি।
আমি দেশের তরুণদের স্বার্থে এতে যোগ দিয়েছিলাম। আমরা যদি একটি মহান জাতি হতে চাই, তাহলে আমাদের সত্যকে সমর্থন করতে হবে এবং এটাই আমি গত ২৫ বছর ধরে প্রচার করে আসছি ''। ক
নজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) দ্বারা পরিমাপিত পাকিস্তানের সাধারণ মুদ্রাস্ফীতি জানুয়ারিতে গত ২৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ % এ পৌঁছেছে, কারণ প্রায় সমস্ত পণ্য এবং ইউটিলিটির দাম বেড়েই চলেছে ।
ডন সংবাদপত্র জানিয়েছে - অ-পচনশীল খাদ্য সামগ্রী, শক্তি, পরিবহন, পোশাক এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দ্বিগুণ-অঙ্কের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। দেশের ক্ষমতাসীন দল এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার কয়েকদিন পরেই সামনে এসেছে ইমরান খানের এই বক্তব্য ।
শোনা যাচ্ছে , বিরোধী দলগুলির প্রধান নেতারা সোমবার জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সভাপতি শেহবাজ শরিফের বাসভবনে বৈঠকে মিলিত হবেন যাতে অনাস্থা প্রস্তাবকে কার্যকরী রূপ দেয়া যায় । এ প্রসঙ্গে খানের দাবি , দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ যারা সরকারকে ফেলতে চাইছে তাদের থামানো রাষ্ট্র ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব। তিনি উল্টো দাবি করেছেন , পাক জনগণ দেখবে যে তাকে শীর্ষ পদ থেকে অপসারণের চেষ্টাকারীরা নিজেদের ষড়যন্ত্রের ভারেই কেমন চাপা পড়ে যাবে।
এনটি