আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ।
সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। একটি ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সহ্য করতে পারছে না। তাই তারার বার বার ইসলামের উপর আঘাত করার চেষ্টা করছে। এ সরকার দেশের সংবিধান ও মানুষের ধর্মীয় বিধানকে লংঘন করে ২১ বছর বয়সীদের জন্য মদের লাইসেন্স প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এমনকি কোনো এলাকায় ১০০ জন মদ সেবনকারী থাকলে সেখানে মদের দোকান খোলারও অনুমতি প্রদানের সুযোগ করে দেবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ও ইসলামবিরোধী। জনগণ এ সিদ্ধান্ত মানে না। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় জনগণ রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
গতকাল রাতে নরসিংদী মাধবদী মার্কায মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলন ও হালকায়ে জিকিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও মসজিদের ইমাম-খতীব, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, সরকার কর্তৃক ভোজ্যতেল ও এলপিজি গ্যাসসহ জিনিসপত্রের দাম বারবার বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য হু-হু করে বাড়ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে দেশের জনগণের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
সর্বত্র মজলুম মানুষের আহাজারি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে হয় না। সরকারের প্রশাসনে শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। দেশে ঘুষ-দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। প্রশাসন ও সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে ঘুষ-দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। জনগণকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। ইসলাম যেখানে আছে সেখানে কোন প্রকার অন্যায় থাকতে পারে না। চলমান অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে হলে সকলকে ইসলামে ফিরে আসতে হবে। ইসলাম ছাড়া দেশে স্থায়ী শান্তি ও মানবতার মুক্তি সম্ভব নয়।
-এটি