আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনা মহামারির কারণে দুই বছর ধরে বিদেশিদের হজ পালনের অনুমতি দেয়নি সৌদি আরব। এবারও বিদেশিরা হজ পালনের সুযোগ পাবেন কি না সে বিষয়ে খোলাসা করছে না তারা।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১৯ মার্চ সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী ‘হজ এবং ওমরাহ সম্মেলন ও মেলা’। সেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
হজ সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী ১৭ মার্চ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নেতৃত্বে সৌদি আরব যাচ্ছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হজের বিষয়টি সৌদি আরবের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। তারা বিদেশিদের অনুমতি দেবে কি না, দিলে কতজনকে দেবে, কী কী বিধিনিষেধ থাকবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি। আগামী ১৯ মার্চ সৌদি আরবে পাঁচ দিনব্যাপী হজ-ওমরাহ সম্মেলন ও মেলা হবে। সেখানে আমরাও যাব। সেখানে হজের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে। সৌদি সরকারের সঙ্গে হজচুক্তি ছাড়া বিস্তারিত কোনো ঘোষণা দেওয়া সম্ভব নয়।’
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘সৌদি আরবের থেকে কোনো ঘোষণা আসেনি। এ বিষয়ে আমাদের কাছে নতুন কোনো তথ্য নেই। তবে সৌদি ঘোষণা অনুযায়ী সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে এজেন্সিগুলোর।’ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ৭ থেকে ১২ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হবে। স্বাভাবিক সময় প্রতিবছর হজের ৮ মাস আগেই সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের হজচুক্তি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছর সৌদিতে অবস্থানরত ৬০ হাজার দেশি-বিদেশি মানুষকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়। এর আগের বছর ২০২০ সালে শুধু ১০ হাজার সৌদি নাগরিককে হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের হজের জন্য চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় নিবন্ধন করলেও কোনো হজযাত্রী করোনা মহামারির নিষেধাজ্ঞার কারণে হজে যেতে পারেননি। তবে হজ এজেন্সিগুলো আশা করছে, সীমিতসংখ্যক হলেও বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আগামী রমজান মাসের মধ্যে সৌদি সরকারের কোনো ঘোষণা আসতে পারে। তখনই নিবন্ধন, প্যাকেজ ঘোষণা, ফ্লাইট শিডিউল ঠিক হবে।