আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নতুন আউয়াল কমিশনকে বরণ করে নিলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। এর মাধ্যমে ১৩ দিনের শূন্যতা দূর হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের।
আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
গতকাল রোববার শপথ গ্রহণের পর আজ থেকে নির্বাচন কমিশনে অফিস শুরু করেছেন কমিশনরা।আগামী পাঁচ বছর দেশের নির্বাচন কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করবেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন।
এদিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কমিশনে প্রবেশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। পরে তিনি চারতলায় ৩০১ নম্বরে নিজ দপ্তরে প্রবেশ করেন।
এ ছাড়া ৯টা ৩৫ মিনিট নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান এবং ৯টা ৫০ মিনিটে নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। পরে সকাল ১০টায় আসেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান এবং সর্বশেষ ১০টা ৫ মিনিটে কমিশনে প্রবেশ করেন নতুন কমিশনার মো. আলমগীর।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদেরসহ ইসির কর্মকর্তারা।
এর আগে রোববার বিকেলে শপথগ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারব। সব কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে আগামীকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হবে।’ এ সময় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা ও দোয়া চান তিনি।
প্রতিটি নির্বাচনই একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের অংশিদারত্বপূর্ণ নির্বাচন করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। শুধু ইসি চাইলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবার সহযোগিতা লাগবে। সর্বোচ্চ ভালোটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে আমাদের।’
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে প্রথমে সিইসিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি। এরপর বাকি চার কমিশনারকেও শপথবাক্য পাঠ করান তিনি। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
-কেএল