আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আমার এক বন্ধু বিভিন্ন জিনিস আলু, পেয়াজ, তরকারির পাইকারি ব্যবসা করে। তাকে আমি কয়েক লক্ষ টাকা এই কথা বলে দিয়েছি যে, এতে যা লাভ হবে তা থেকে তুমি কিছু নিবে, আমাকে কিছু দিবে।
সে আমাকে লভ্যাংশ থেকে কোনো মাসে দুই হাজার, কোনো মাসে সাতাইশ শ’, আবার কোনো মাসে একেক রকম অংকের টাকা সে আমাকে দিয়ে থাকে। জানার বিষয় এই যে, সে আমাকে মাসে মাসে যে টাকাগুলো দিয়েছে তা কি সুদ হবে?
উত্তর এক পক্ষের পুঁজি আর অন্যের শ্রম এই কারবারের একটি মূলনীতি হল পুঁজিদাতা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের লভ্যাংশ শতকরা হারে নির্ধারিত হতে হবে।
যেমন লাভের ৬০% পাবে বিনিয়োগকারী আর ৪০% পাবে ব্যবসায়ী। অথবা কম বেশি কোনো অংশ। যেহেতু প্রশ্নোক্ত চুক্তিতে শতকরা হার নির্ধারণ করা হয়নি; বরং লাভের কিছু অংশ দেওয়ার চুক্তি হয়েছে তাই এক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের মাঝে লাভ অর্ধাঅর্ধি হারে ভাগ করতে হবে।
অতএব আপনাকে লাভ হিসাবে যা দেওয়া হয়েছে তা যদি অর্জিত মুনাফার ৫০% হয়ে থাকে তবে তা নেওয়া বৈধ হয়েছে। আর যদি কম হয়ে থাকে তবে বাকি অংশ আপনি নিয়ে নিতে পারবেন।
আর ৫০% এর বেশি দিয়ে থাকলে আপনার ফেরত দিতে হবে। উল্লেখ্য, এ ধরনের ব্যবসার পুরো হিসাব সংরক্ষণ করা জরুরি। যেন লভ্যাংশের বণ্টন যথাযথ হয়।
বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১১; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ১৪১১; শরহুল মাজাল্লা, খালিদ আতাসী ৪/৩৩৩; মাবসূত সারাখসী ২২/২৩; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/২৮৫; রদ্দুল মুহতার ৫/৬৪৮। আল কাউসার
-এটি