আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইউক্রেনে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন কারণে বসবাস করেন। তাদের মধ্যে এখন যুদ্ধ ভীতি তৈরি হয়েছে। এসব বাংলাদেশিরা উৎকণ্ঠিত অবস্থার মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন।
তিনি বলেন, ‘তারা পুরো ইউক্রেনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং ইস্টার্ন ইউক্রেনের যেসব এলাকায় সমস্যা রয়েছে, সেখানেও অনেক বাংলাদেশি আছেন, স্টুডেন্ট আছেন। যদিও শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন কারণে ইউক্রেন ছাড়ার ব্যবহারিক নানা অসুবিধা আছে, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে ইউক্রেন ছাড়ার কথা ভাবছেন এবং ছাড়ছেনও।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেওয়ার পর ওই অঞ্চলে যুদ্ধ ভীতির ছায়া পড়তে শুরু করেছে। এর প্রভাব পড়েছে রাশিয়া সীমান্তের কাছে অবস্থিত পূর্ব ইউক্রেনের শহরগুলোতে। দেশটির খারকিভ শহরের বাসিন্দা বাংলাদেশের খালেদা নাসরিন নীলিমা। তিনি সেখানে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন। সোভিয়েত আমল থেকে শুরু করে ইউক্রেনের স্বাধীনতা, বর্তমান যুদ্ধাবস্থা-সবই তার চোখের সামনে ঘটেছে।
তিনি বলেন, 'এতদিন ধরে যত্ন করে যে বাসা সাজিয়েছিলাম, এখন সেটা ছেড়ে যেতে হবে। আপাতত ওয়েস্টে, পোল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে কিছুদিন থাকবো। এরপর সিদ্ধান্ত নেবো ইউক্রেনেই থাকবো, বাংলাদেশে যাবো নাকি অন্য কোথাও যাবো।’
তিনি আরও বলেন, খু্বই উদ্বেগে আছি, তাই অন্য শহরে চলে যাচ্ছি। আগামীকালই চলে যাবো। এই বাসায় বিশ বছর ধরে থাকি, একেবারেই যেতে ইচ্ছা করছে না। কিন্তু আমি এখানে থাকা এখন একেবারেই নিরাপদ বোধ করছি না।
এদিকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বলেছেন, ইউক্রেনে বসবাসরত প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং তারা চলে যেতে চাইলে তাদের কী ধরনের সহায়তা দেয়া যাবে, তা নিয়ে তারা ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, পোল্যান্ড ইউক্রেনের সাথে তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। ‘পোল্যান্ড সরকার এক ব্রিফিংএ আমাদের জানিয়েছে, ইউক্রেনে থাকা তৃতীয় দেশের নাগরিকরা সেদেশ ছাড়তে চাইলে, পোল্যান্ড ১৫ দিনের জন্য তাদের ট্রানজিটে থাকার অনুমতি দেবে।’
সূত্র : বিবিসি বাংলা
এনটি