আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করায় ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ প্রতিক্রিয়ার জবাবে ভারত বলেছে—অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইটে বলেন, কর্ণাটকের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাক পরার বিষয়টি রাজ্যের হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের অধীনে রয়েছে।
আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো এবং গণতান্ত্রিক নীতিপন্থায় ইস্যুটির সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম নারীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা নিয়ে চলছে প্রতিবাদ-পাল্টা প্রতিবাদ। কর্নাটক, পদুচেরি, মধ্যপ্রদেশ ছাড়িয়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ ছড়িয়েছে রাজধানী নয়াদিল্লিতে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে, এমনটাই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বিক্ষোভকারী নয়াদিল্লির শিক্ষার্থী উম্মা মির্জা বলছেন, ‘হিজাব পরা মুসলিম নারীদের সাংবিধানিক অধিকার। এটা শুধু এক টুকরো কাপড় নয়।
এটা মুসলিম নারীদের সম্মানের প্রশ্ন। এটা মুসলিম নারীর গর্ব। কর্ণাটকে যা হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না। আমি নবম শ্রেণি থেকে হিজাব পরি। ভারতে এর আগে এমনটা দেখিনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তো নয়ই। তাই যা হচ্ছে এটার নিন্দা করছি।’
এ নিন্দার বার্তা ভারত ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত রশিদ হুসাইন টুইটবার্তায়, ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন।
রশিদ হুসাইন বলেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার মধ্যে একজনের ধর্মীয় পোশাক বেছে নেওয়ার ক্ষমতা অন্তর্ভূক্ত। তাই কর্ণাটকে ধর্মীয় পোশাকের অনুমতি নির্ধারণ করা উচিত নয়। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে এবং নারী ও মেয়েদের কলঙ্কিত ও প্রান্তিক করে।’
-এটি