আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০১১ সালে রাজনৈতিক সংকট মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়াকে ঠেলে দেয় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর পর থেকে দেশটিতে হাজার হাজার নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এবার তাদের জন্য দেশটির ইদলিব প্রদেশে ‘নতুন শহর’ তৈরি করছে তুরস্ক।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম হুররিয়াত ডেইলি নিউজ এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, তুরস্কের সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মেশেদ রুহিন গ্রামে ইতোমধ্যে ৩০ হাজার ঘর তৈরি করা হয়ে গেছে, তৈরি করা হবে আরও ২০ হাজার ঘর। ইদলিবের এ ‘নতুন শহরে’ ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার সিরিয়ান বসবাস করা শুরু করেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ৬২ লাখ মানুষ সিরিয়ার মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ লাখ শিশু রয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বিশ্বে সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা এটি।
ইদলিব যেখানে একসময় ১১ লাখ মানুষ বাস করতো সেটিই এখন বাস্তুচ্যুত মানুষের ঠিকানা। এর কারণ হলো এটি সীমান্তবর্তী প্রদেশ। বর্তমানে এ প্রদেশের বাসিন্দা ৫০ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন করে সিরীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গত বছর ইদলিবে ‘নতুন শহর’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেয় তুরস্ক। বর্তমানে সিরিয়ার ৩৬ লাখের বেশি নাগরিক তুরস্কে বাস করছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি এবং রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে কম সময়ে ৩০ হাজার ইটের ঘর, স্কুল, হাসপাতাল, শিশুদের জন্য পার্ক, ছোট শপিং মল এবং নারীদের জন্য সেন্টার তৈরি করা হয়েছে।
ইদলিবের এ নতুন শহরে এক লাখ ৮০ হাজার মানুষ বসবাস শুরু করেছেন। প্রকল্পের অংশ হিসেবে আরও ২০ হাজার ইটের ঘর তৈরি করা হবে।
টার্কিশ রেড ক্রিসেন্টের প্রধান কেরেম কিনিক বলেন, যখন সারা বিশ্ব চুপ হয়ে আছে তখন তুরস্ক সিরিয়ায় ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমরা বাড়ি তৈরি করছি। বাস্তুচ্যুতরা এসব বাড়িতে বসবাস শুরু করেছেন এবং নিরাপদ বোধ করছেন।
শুধু ঘর তৈরিতেই টার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থেমে আছে তা নয়। নতুন এ শহরে প্রতিদিন ৩০ হাজার রুটি ও ২০০ টন পানি সরবরাহ করা হচ্ছে সংস্থার পক্ষ থেকে। এর অধিকাংশ রুটি এ অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা।
কিনিক বলেন, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে তুরস্ক অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।
এনটি