আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় পৌর শহরের সম্ভ্রান্ত মিয়াবাড়ি মসজিদ এখন দর্শনীয় স্থাপনা। ৪০০ বছরের স্থাপত্যের নিদর্শন কালের সাক্ষী হয়ে আজও টিকে আছে সমহিমায়। মোগল আমলের এ স্থাপত্য নিদর্শন এখন উপকূলীয় অঞ্চলের ঐতিহ্য।
চমৎকার নির্মাণশৈলীর এক গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি মোগল আমলের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। ৪০০ বছরের এ মসজিদ এক নজর দেখার জন্য এখানে প্রতিদিন মানুষের সমাগম ঘটছে। মসজিদের চারপাশ ঘিরে আছে ফুলবাগান ও তার সামনে আছে একটি চারিধার বাধানো প্রাচীন পুকুর। পুকুরের চারপাশজুড়ে বর্ণিল আলোক দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে।
মোগল আমলে নির্মিত এক গম্ভূজ বিশিষ্ট মসজিদটি নজরকাড়া দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। মসজিদগুলোর দেয়ালে লাল ইট আর চুনা পাথরের মিশ্রণের কাজে দিল্লির লাল ইটের স্থাপত্যরীতির প্রভাব আছে।
এর দেয়ালগুলোতে আছে ইটের বিন্যাস, পোড়ামাটির ফলকের কাজ। ছাদের গম্বুজ ও খিলানে একসময় ছিল সোনালি প্রলেপের কাজ। তবে বর্তমানে তা আর চোখে পড়ে না। রেলিং প্রাচীরে ঘেরা ছোট্ট সুন্দর এই মসজিদগুলোতে মিহরাব এবং এক গম্বুজের ভেতরের অংশ পাথরের ফুল, চমৎকার লতাপাতা ও আরব্য নকশায় খোদাইকৃত। মসজিদের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে পোড়ামাটির নকশার কাজ, যা মোগল ও স্থানীয় শিল্পরীতির নিপুণ সমন্বয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মসজিদের ভেতরের চমৎকার ফুলেল নকশায় নির্মিত ‘মসজিদটি নামাজের কাজ ছাড়াও বিচারকার্য এবং সভা পরিচালনার কাজেও ব্যবহৃত হতো’ এমন জনশ্রুতি আছে। এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটিতে একসঙ্গে ১১ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রত্নতত্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পুরাকীর্তি মসজিদটি সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সংরক্ষিত ‘প্রাচীন এ পুরাকীর্তি মিয়াবাড়ি মসজিদ’ সংস্কার শেষে উদ্বোধন করেন।
মসজিদটি ৩০ ফুট লম্বা এবং ১৭ ফুট চওড়া এক গম্বুজবিশিষ্ট। জনশ্রুতি আছে, মসজিদটি ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে নির্মাণ করা হয়েছে। সূত্র: ইকনা