শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

কুরআনের কাব্যানুবাদ করার বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।কাউসার লাবীব।।

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কবি মুহিব খানের ‘আল কুরআনের কাব্যানুবাদ’ গ্রন্থ। বাংলা ভাষায় পবিত্র কোরআনুল কারীমের কাব্যানুবাদ রচনা করে ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন কবি মুহিব খান।

দীর্ঘ সময়ের অধ্যাবসায়, চেষ্টা ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে পাঠকের হাতে তুলে দেয়া এ গ্রন্থটি বাজারে আসার পর আরেকটি দিক বেশ আলোচনায় আসে। পবিত্র কোরআনুল কারীমের কাব্যানুবাদ করা কি বৈধ? ইসলাম বিষয়টিকে কীভাবে দেখে?

এ বিষয়ে ফুকাহায়ে কেরামের বিভিন্ন মত রয়েছে। রয়েছে পক্ষে বিপক্ষে নানা যুক্তি। ঠিক এ বিষয়টি বেশ কিছুদিন আগে হিন্দুস্তানেও আলোচনায় এসেছিল- ‘পবিত্র কুরআনুল কারিমের কাব্যানুবাদ করা যাবে কি?’

উপমহাদেশের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে এ বিষয়টির ফিকহি সমাধান চাওয়া হয়েছিল। ফতোয়া বিভাগে করা প্রশ্নে বলা হয়, ‘কেউ চাইলে পবিত্র কোরআনুল কারীমের কাব্যানুবাদ করতে পারবে কি না?’ পাশাপাশি কিছু কাব্যানুবাদের নমুনাও উপস্থাপন করা হয় ওই প্রশ্নের সঙ্গে। আওয়ার ইসলাম পাঠকের জন্য দেওবন্দের সে ফতোয়াটি তুলে ধরা হলো-

ফতোয়া নং- ১৭৬৮০৪
প্রকাশের তারিখ- ৫ এপ্রিল ২০২১ ইং
ফতোয়া: 536-98T/N=8/1441

সমাধান:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআনের অনুবাদ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এ মহান কাজ বুদ্ধিদীপ্তভাবে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করতে হয়। এর জন্য আরবি ভাষায় যথেষ্ট পরিপক্কতা থাকা ছাড়াও শরিয়তের প্রয়োজনীয় জ্ঞান সম্পর্কে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য ধারণা এবং পবিত্র কুরআনুল কারিমের অনুবাদ ও ব্যাখ্যার সঙ্গে মুনাসাবাত তথা সম্পর্ক থাকাও জরুরি। আর এটা বলায় বাহুল্য যে, পবিত্র কুরআনুল কারিমের আয়াতের অর্থ ও উদ্দেশ্য কবিতায় বা ছন্দে ফুটিয়ে তোলা আরও সূক্ষ্ম ও স্পর্শকাতর কাজ।

আরো পড়ুন- কবি মুহিব খানের কষ্টের কাব্যানুবাদের তাহলে কি হবে?

প্রশ্নে আপনি আপনার কিছু অনুবাদের নমুনা উপস্থাপন করেছেন। আমরাও নিবিঢ়ভাবে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি। তবে গুটিকয়েক আয়াতের করা কাব্যানুবাদ দেখে আপনার সামগ্রিক কাজের বিষয়ে সমাধান দেয়া অনেককটা দুষ্কর। তাই আপনার জন্য কল্যাণকর হবে আপনি স্থানীয় কোনো প্রাজ্ঞ ইসলামী ফিকহ বিশেষজ্ঞের (মুফতি সাহেব) কাছে আপনার সার্বিক কাজগুলো উপস্থাপন করুন এবং তার পরামর্শ গ্রহণ করুন।

আরো পড়ুন- পবিত্র কুরআনের কাব্যানুবাদ: একটি শরীয়াহ পর্যালোচনা

তবে এক্ষেত্রে একটি মৌলিক বিষয় হলো, ভাব, মর্যাদা ও শর্ত-শারায়েত মেনে করা পবিত্র কুরআনুল কারিমের সাধারণ অনুবাদ (গদ্যানুবাদ) যেমন জায়েয, তেমনি কাব্যানুবাদও জায়েয। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই গদ্যানুবাদ ও কাব্যানুবাদ সম্পর্কে অনুবাদকের সঠিক ও বাস্তবসম্মত যোগ্যতা থাকা আবশ্যক।

মূল ফতোয়ার ওয়েবসাইট লিঙ্ক- https://darulifta.info/d/deoband/fatwa/qC7/%D9%82%D8%B1%D8%A2%D9%86-%DA%A9%D8%B1%DB%8C%D9%85-%DA%A9%DB%92-%D9%85%D9%86%D8%B8%D9%88%D9%85-%D8%AA%D8%B1%D8%AC%D9%85%DB%92-%DA%A9%D8%A7-%D8%AD%DA%A9%D9%85

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ