রফিকুল ইসলাম জসিম।।
বইমেলা থেকে>
ইসলামিক ফাউন্ডেশনে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারেও ইসলামী বইমেলার আয়োজন করেন। মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর পর শুরু হয়েছে ইসলামি বইমেলা।
‘ইসলামী বইমেলা’য় বায়তুল মোকাররমে আজ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বইমেলার বিকাল ৪ ঘটিকায় দেখতে আছেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কালার ডক্টর এনায়েতুল্লাহ আব্বসী।
ইসলামিক বইমেলায় সম্পর্কে ডক্টর এনায়েতুল্লাহ আব্বসী কাছে থেকে বইমেলায় আগত পাঠক শ্রোতারা জানতে চাইলে তিনি এইসময় বলেন, বাংলাদেশে ইসলামি সংস্কৃতি উন্নয়নে এবং একটি ইসলামিক সংস্কৃতি মনা জাতি গঠনে এই মহতী উদ্যোগ যেটা সাহিত্যের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত মানুষের ঘরে পৌছে দেওয়া সত্যি একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।
ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ইসলামী বইমেলা অতন্ত্য গ্রহনযোগ্য একটি কাজ এবং বাংলাদেশের মুসলমানদের ক্রান্তিকালে এটি মহতী কাজ বলে গন্য হবে বলে তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে সাহিত্যের বিকাশের মাধ্যমে একটি জাতির পুর্নগঠন, জাতির উন্নয়ন এবং জাতিকে আর্দশ জাতি গঠনে পরিণত করা যায়,যদিও সাহিত্যটা হয় কোরআন সুন্নাহভিত্তিক।
তিনি আরো যুক্ত করেন, আমাদের দেশে যুব সমাজের একটি বিরাত অংশ। প্রচলিত গল্পে উপন্যাসে এবং অমুসলিম লেখকদের বই পড়ে সাংস্কৃতিভাবে মেধা ও বুদ্ধি অনেকটা প্রতিবন্ধকতা হয়ে যাচ্ছে। ইসলামের মহান জ্ঞান থেকে তারা বঞ্চিত অথচ বাংলাদেশে ইসলামকে জানার ও বুঝার জন্য সাহিত্যের ভান্ডার এমন ব্যাপক আকার ধারণ করছে৷ ইসলামিক ফাউন্ডেশন মাধ্যমে হোক বা বিভিন্ন প্রকাশনীর ব্যক্তিগত হোক আজকে আমি ইসলামিক বইমেলা ঘুরে দেখলাম প্রচুর বই বের হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
এনায়েতুল্লাহ আব্বসী গণমাধ্যমে কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের যুবসমাজ শিক্ষিত যারা সহজে দ্বীনি ইসলামকে জানতে পারে বুঝতে পারে বই পড়ে৷ এখানে প্রচুর বই দেখলাম কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে একুশে বইমেলা নিয়ে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলো গণমাধ্যমে যেভাবে প্রচার করে ইসলামিক বইমেলা সেইভাবে প্রচার হয় না৷
বাংলাদেশের যেভাবে ইসলামি সাহিত্যের বিকাশ ঘটছে ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বইমেলায় অবদানসূচক রেখে যাচ্ছে, এদেশে যুবসমাজ দ্বীনের পথে ফিরে আসবে৷ আগামী থেকে গণমাধ্যমে ইসলামিক বইমেলার ব্যাপক প্রচার করা হোক বলে দাবী করেন৷
পাঠক ও সকল মুসলমানদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইসলামপন্থী ও ইসলামকে যারা ভালোবাসে প্রত্যেকে আমার অনুরোধ রইলো আপনারা বইমেলা ভ্রমণ করবেন বই কিনবেন, নিজে পড়বেন অন্যকে পড়তে দিবেন।
এনায়েতুল্লাহ আব্বসীর তার দৃষ্টিতে তিনি আরোও বলেন, একটি বিপদগামী মানুষকে ইসলামের পথে আনার জন্য তার সাথে একজন দ্বীনের কর্মী নিযুক্ত করা আর কুরআন হাদীসের আলোকে লিখিত একটি বই তার হাতে দেওয়া সমাজ কাজ।
পরিশেষে, তিনি ইসলামিক বইমেলার সার্থক ও সফলতার কামনা করে আগামী বছরে তার পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতার সম্ভাবনা আশা করেন তাহলে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা করেন৷
-এটি