মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান।।
৬৩৬ খ্রিস্টাব্দের কথা। ইয়ারমুকের যুদ্ধ চলছে। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুর শাসনকাল। তখন ইসলাম জয়ের পতাকা উড়ছে চারদিকে। রণাঙ্গন থেকে উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু একের পর এক দু:সংবাদ পেয়ে বিচলিত হয়ে উঠছেন।
একদিন স্বপ্নে দেখেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনার এক বাগানে তাশরিফ এনেছেন। সঙ্গে আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আবেদন করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মন মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত চিন্তিত।
অনেক টেনশান হচ্ছে। আল্লাহ তাআলাই জানেন তারা কী অবস্থায় আছে? খবর এসেছে, দশলক্ষ ষাট হাজার শত্রু সৈন্য মুসলিমদের মোকাবেলা করছে। নবিজি বললেন, উমার! খুশি হও।
আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের বিজয় দান করেছেন। দুশমনদের পরাজিত করেছেন। অনেক কাফির মৃত্যুমুখে পতিত। কুরআন থেকে সান্ত্বনার বাণী তিলাওয়াত করে শোনালেন,تِلۡكَ ٱلدَّارُ ٱلۡأٓخِرَةُ نَجۡعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوّٗا فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا فَسَادٗاۚ وَٱلۡعَٰقِبَةُ لِلۡمُتَّقِينَ যারা দুনিয়াতে অকল্যাণ চায় না। অশান্তি সৃষ্টি করে না।
আমি তাদের জন্য আখিরাতে ঘর নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। আর শুভ পরিণতি মুত্তাকীদের জন্য নির্ধারিত। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু ফজরের সালাতে উপস্থিত লোকদের এই স্বপ্ন শোনান। সবাই অত্যন্ত খুশি হয়। স্বপ্নের দিন তারিখ লিপিবদ্ধ করে রাখা হলো। কয়েকদিন পরে হুযাইফাতুল ইয়ামান রাযিয়াল্লাহু আনহু বিজয়ের সুসংবাদ নিয়ে এলেন। দেখা গেলো বিজয়ের তারিখ সেদিনই যেদিন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিজয়ের সুসংবাদ দিয়ে ছিলেন। সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৩
-এটি