আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চট্টগ্রামের স্কুলশিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনতে প্রথম ধাপে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় সাত লাখ শিক্ষার্থীর ডাটা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা-উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান খোঁজা হচ্ছে বলে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
করোনার প্রকোপ কমে আসলেও কড়াকড়ি স্বাস্থ্যবিধির মধ্য দিয়ে গত দুই মাস ধরে সশরীরে ক্লাস করছে স্কুলপর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সরকার পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া শুরু করেছে।
এই কার্যক্রমে চট্টগ্রামেও চলছে স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার নানা প্রস্তুতি। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশু-কিশোরদের, যা ২৭ অক্টোবরের মধ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।
চট্টগ্রামের গভর্মেন্ট মুসলিম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আয়েশা খাতুন বলেন, শিক্ষার্থীদের ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর, শ্রেণি, বিদ্যালয়ের নম্বর ইত্যাদি একটা ফরমেটে আমরা থানা শিক্ষা অফিসকে দেব।
অপরদিকে চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানান, আমাদের শিক্ষার্থীদের সব তথ্য লোড করা শেষ, প্রিন্ট করা শেষ এখন শুধু এখন ইনপুট দেওয়া বাকি।
এদিকে টিকা প্রয়োগে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে আনা হবে না, এর পরিবর্তে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ভিন্ন কোনো কেন্দ্র নির্ধারণের নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, ফাইজারের টিকা প্রয়োগের জন্য টেম্পারেচার একটা বড় ব্যাপার, এই কারণে আমরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেছে নেব।
জেলায় মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৩০টি। এর মধ্যে স্কুল ৬৮২টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৪৮টি, শুধু কলেজ ১০৪টি এবং মাদ্রাসা রয়েছে ৩১৪টি।
-এএ