জুলফিকার জাহিদ।।
গতকাল দুবাই-এ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারত-পাকিস্তানের মাঝে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, এই ম্যাচে চিরশত্রু ভারতকে অপরাজিত থাকার রেকর্ড চূর্ণ করে একচ্ছত্র জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
তবে ঐতিহাসিক এই জয়-পরাজয়ের থেকেও বেশি আলোচনায় এসেছে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে পানি পানের বিরতিতে পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের নামাজ আদায়ের দৃশ্য।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, বিরতির সময় ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা পানি পান ও খোশগল্পে মত্ত, এমন সময়ে মাঠের মাঝখানে নামাজ পড়ছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দৃশ্যটি আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তান থেকে শুরু করে ভারতীয় মিডিয়া অঙ্গনেও দৃশ্যটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ছবিটি টুইটারে শেয়ার করে প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট কলামিস্ট আনসার আব্বাসী। দেশটির প্রসিদ্ধ সাংবাদিক হামিদ মীরও ছবিটি শেয়ার করে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।
আরো পড়ুন: মুসলিম পরিচয়ের কারণে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের শিকার ভারতীয় ক্রিকেটার
বাদ যায়নি বাংলাদেশের নেট মাধ্যমও। ছবিটি নিয়ে প্রশংসা করেছেন অনেকেই। ‘ইসলামের সৌন্দর্য এখানেই’- এমন মন্তব্য করতে দেখা গেছে অনেককে। কেউ লিখেছেন, ‘এমন দৃশ্যগুলো দলটির প্রতি দুর্বলতা বাড়িয়ে দেয়’।
তবে প্রশংসার বাইরেও বিপরীতমুখী কিছু মন্তব্যও দেখা গেছে। কাউকে বলতে দেখা গেছে, সবার সামনে এভাবে নামাজ পড়ার কি আছে, ড্রেসিং রুমে গিয়ে পড়লেও তো পারতে! কেউবা বলেছেন, যেখানে ইসলামের দৃষ্টিতে ক্রিকেট খেলার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন রয়ে গেছে সেখানে ক্রিকেট মাঠে নামাজ পড়ার বিষয়টি নিয়ে এতটা আবেগি হওয়ার কি আছে?
আরো পড়ুন: বিরতির ফাঁকে মাঠেই নামাজ পড়লেন পাক ক্রিকেটার, ভিডিও ভাইরাল
তবে বিষয়টিকে একটু ভিন্নভাবেই মূল্যায়ন করেছেন তরুণ আলেম সাংবাদিক ও খতিব মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব।
ছবিটি শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে তিনি লিখেছেন;
‘ক্রিকেট খেলা বৈধ কি অবৈধ, বিশ্বকাপ ঠিক না বেঠিক- এখানে প্রশ্ন সেটা না। বরং প্রশ্ন হলো :
নামাজকে আপনি নিজের অপরিহার্য ডিউটি মনে করছেন কিনা?
এটাকে জীবনের সবকিছুর ওপর স্থান দেন কিনা?
আপনি যে দৈনিক পাঁচবার মসজিদে আসার আল্লাহর আহ্বানকে উপেক্ষা করছেন এটা কত অপরাধ তা কি ভেবে দেখেছেন’?
এনটি