মুফতি মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া ।।
কিবলার দিক করে ইস্তেঞ্জা করানো
কিবলার দিকে মুখ করে কিংবা পিঠ করে মলমূত্র ত্যাগ করার বিষয়ে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এতে কিবলার অসম্মান করা হয়। ফিকহবিদগণ একে মাকরূহ বলেছেন। এক্ষেত্রে একটি ভ্রান্তি এই দেখা দেয় যে, অনেকেই এ হুকুম শুধু বড়দের জন্য নির্ধারিত মনে করেন। তাই শিশুদের মলমূত্র ত্যাগ করার সময় এ বিষয়ে লক্ষ রাখেন না। আসল কথা হচ্ছে তাকে ঐভাবে ইস্তেঞ্জা করাবেন তিনি দোষী হবেন। -রদ্দুল মুহতার ১/৬৫৫
কিবলার দিকে পা করে শোয়ানো
এবিধানও শুধু বড়দের জন্য মনে করা হয়। ফলে ছোট বাচ্চাদেরকে নির্দ্বিধায় কিবলার দিকে পা দিয়ে শোয়াতে দেখা যায়। এটা ঠিক নয়। এভাবে শোয়ালে যিনি শোয়ালেন ত্রুটি তার। -রদ্দুল মুহতার ১/৬৫৫
স্বর্ণ ও মেহেদীর ব্যবহার
পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম। আর চুল-দাড়ি ছাড়া অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মেহেদী লাগানো জায়েজ নয়। অনেকে মনে করেন, এ বিধান শুধু বড়দের জন্য। তাই নাবালেগ বাচ্চাদেরকে স্বর্ণের আংটি পরানো, মেহেদী লাগানোকে দোষের মনে করা হয় না। এধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ছেলে শিশুদের জন্যও স্বর্ণ ব্যবহার করা, মেহেদী লাগানো নিষিদ্ধ। -ফাতাওয়া শামী ৬/৩৬২
কুরআন মজীদ স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পবিত্রতা বিষয়ে অবহেলা
শিশুর কষ্টের দিকে লক্ষ করে হিফজ ও কুরআন-শিক্ষার্থী শিশুদের ওযুর ব্যাপারে শিথিলতার কথা কিতাবাদিতে পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকে এ মাসআলার উপর ব্যাপকতার ভিত্তিতে আমল করতে গিয়ে শিশুদের পবিত্রতার বিষয়ে মোটেও গুরুত্ব দেয় না। এটা ঠিক নয়। বরং কুরআন মজীদের সম্মান ও আদবের দাবি হল, যে শিশু বুঝমান, সে বালেগ না হলেও তাকে ওযুর সাথেই কুরআন স্পর্শ করার ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। শিশুদেরকে এব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা বড়দেরই দায়িত্ব। -জামিউ আহকামিস্সিগার ১/৩৪ি
এনটি