সাখাওয়াত রাহাত।। আল্লাহু আকবার! পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতরত ইন্দোনেশিয়ান এই ভদ্রমহিলার বয়স একশো বছর! যেখানে সত্তর/আশি বছর বয়স হলে মানুষ অনেক সময় নিজের নামটাও ভুলে যায়; সেখানে শতবর্ষী এ প্রবীন মহিলা সূরা ইয়াসিন-এর প্রথম ১৩টি আয়াত প্রায় নির্ভুলভাবে অনর্গল মুখস্থ বলে যাচ্ছেন! সুবহানাল্লাহ!
কোনো সন্দেহ ছাড়াই পৃথিবীতে আমাদের জন্য সবচে' বড় নেয়ামতগুলোর অন্যতম 'আল কুরআন'! এটি আমাদের ধর্মগ্ৰন্থের পাশাপাশি জীবন বিধানও। কুরআন বুঝে পড়ি আর না বুঝে পড়ি এর প্রতিটি হরফ পড়ার বিনিময়ে রয়েছে কমপক্ষে দশটি করে সওয়াব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পড়বে, সে একটি নেকি পাবে, আর প্রতিটি নেকি দশ গুণ করে বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে।’ (তিরমিজি শরিফ; হাদিস : ২৯১০)
এছাড়াও হাদিসে এ বিষয়ে আরো অনেক ফজিলতের কথা এসেছে। যেমন, এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কুরআন তেলাওয়াত করো। কেননা কুরআন কেয়ামতের দিন তার তিলাওয়াতকারীদের জন্য সুপারিশকারী হিসেবে আগমন করবে। (মুসলিম শরিফ; হাদিস নং ৮০৪)
আরেক হাদিসে এসেছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যারা সহিহ-শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করে, তারা পূণ্যবান সম্মানিত ফেরেশতা তুল্য মর্যাদা পাবে। আর যারা কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কুরআন শুদ্ধভাবে পড়ার চেষ্টা ও মেহনত চালিয়ে যায়, তাদের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব।’ (আবু দাউদ শরিফ; হাদিস : ১৪৫৪)
একটা সময় এদেশের মুসলমানদের দিন শুরু হতো পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে। প্রায় প্রতিটি ঘর থেকেই ঊষালগ্নে কুরআন তিলাওয়াতের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসত। দুঃখের বিষয়, এটি দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে! কুরআন বুকে শিশুদের মক্তবে যাওয়ার পবিত্র দৃশ্যও এখন আর তেমন চোখে পড়ে না!
জীবনে কতো চ্যালেঞ্জ-ই তো আমরা গ্ৰহণ করেছি। কমবেশ সফলও হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। আসুন না এই ভিডিও দেখে আজ থেকে আরেকটা চ্যালেঞ্জ নিই। যারা কুরআন পড়তে পারি না তারা একটা তারিখ নির্দিষ্ট করে সেই তারিখের মধ্যেই কুরআন পড়া শিখে ফেলি।
আর যারা দেখে পড়তে পারি তারা অন্তত প্রতিদিন একটা করে আয়াত মুখস্থ করে নিই। অনন্ত ছোট এবং মাঝারি আকারের সূরাগুলো তো মুখস্থ করতেই পারি! ভিডিও লিঙ্ক
-এটি