আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রংপুরের পীরগঞ্জে জেলেপল্লিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক হওয়া প্রধান অভিযুক্ত এসএম সৈকত মণ্ডল (২৪) একজন ছাত্রলীগ নেতা। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজ দর্শন বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
তবে হামলার ঘটনার পর গত সোমবার তাকে বহিষ্কার করা হয়। সৈকত মণ্ডল উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর গ্রামের রাশেদুল মণ্ডলের ছেলে।
তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার জানান, সৈকতকে গত ১৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় সৈকত ও আরেক আসামি রবিউল ইসলামকে ঢাকার টঙ্গী থেকে শুক্রবার রাতে আটক করেছে র্যাব।
র্যাবের ভাষ্য- ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য এবং মিথ্যা পোস্টের মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনকে উত্তেজিত করেন সৈকত মণ্ডল। আর ঘটনার রাতে বটেরহাট মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন তার সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৬)। এরপরই হামলা চালানো হয় রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুর কসবা জেলেপল্লিতে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
শনিবার র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলছেন, সৈকত মণ্ডল আগে থেকেই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বিদ্বেষ ছড়িয়ে আসছিল। কুমিল্লার ঘটনার পর থেকেই সে নানারকম উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছে। হামলার পেছনে গুজব ছড়াতে সে ভূমিকা পালন করেছে। রবিউল ইসলাম তার এসব বক্তব্য প্রচারে সহযোগিতা করেছে।
এনটি