আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারত থেকে আসা পানির ঢলে দুরবস্থায় পড়েছে রংপুর ও লালমনিরহাটের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। ঢলের পনিতে ভেসে গেছে সবকিছু। এক দিনেই সবকিছু হারিয়েছেন তারা। এখন ঠাঁই হয়েছে নদীর বাঁধে। কার্তিকের প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পলিথিন মুড়ি দিয়ে রাত কাটিয়েছেন অনেকে পরিবার।
তিস্তা নদীর বামতীরে বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় পানি কয়েকটি চ্যানেল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলী গ্রামে ঢুকে লন্ডভন্ড করেছে সবকিছু।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের কয়েকটি রাজ্যে ভারি বর্ষণের কারণে গজলডোবার সব গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে মঙ্গলবার রাতে তিস্তার পানি হুহু করে বাড়তে থাকে। বুধবার সকালে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী, গজঘন্টা, মর্নেয়া ইউনিয়নসহ কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার চর, দ্বীপচর ও তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
পানির তীব্র স্রোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জরুরি অবস্থা মোকাবিলাসহ জানমাল রক্ষায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে অবস্থানের জন্য আহ্বান জানায়।
বুধবার রাতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে উদ্ধার তৎপরতা চালায় সেনাবাহিনী। স্পিডবোটের মাধ্যমে চরগুলো থেকে পানিবন্দিদের নিরাপদ স্থানে উদ্ধার করে আনা হয়। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এনটি