মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

দেশের চলমান ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর গোপালগঞ্জ উলামা পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আদিয়াত হাসান: কুমিল্লার নানুয়া দিঘীর পাড় হিন্দুমন্দিরে পবিত্র কোরআন অবমাননাসহ দেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিভিন্ন ইস্যুতে উলামা পরিষদ গোপালগঞ্জ সদর-এর উদ্যোগে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্বারকলিপি প্রধান করা হয়েছে।

জানা যায়, আজ মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) গোপালগঞ্জ সদর উলামা পরিষদ এর সভাপতি মাওলানা নাসির আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মুফতী শুয়াইব ইবরাহীম স্বাক্ষরিত স্মারক লিপিটি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন মুফতী শুয়াইব ইবরাহীম।

স্মারক লিপিতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনি অবগত আছেন যে, গত ১৩ অক্টোবর ২০২১ ইং রোজ বুধবার কুমিল্লার নানুয়া দিঘীর পাড়ে একটি মন্দির থেকে পুলিশ মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ‘কোরআন শরীফ’ উদ্ধার করেছে। কে বা কারা
এমন ন্যাক্কার জনক কাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনও উদ্ঘাটিত হয়নি। গোপালগঞ্জ সদর উলামা পরিষদ এহেন ন্যাক্কার জনক ও সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সরকারের কাছে প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে অনতিবিলম্বে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছে।

স্মারক লিপিতে আরো বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ইসলাম ও ইসলামের নবী, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন, পবিত্রঘর কাবা শরীফ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে উপহাস ও অবমাননা করা এক শ্রেণীর লোকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং ধর্মীয়ভাবে এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশের সল্প সংখ্যক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আবহমান কাল থেকে শান্তিতে বসবাস করে আসছে এবং নিরাপত্তার সাথে তারা তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মুসলিমরাও তাদের নিরাপত্তার পাহারাদারি করে থাকে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার ফলে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট
হচ্ছে। গত কিছুদিন আগে ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিনে জনৈক হিন্দু নেতার ফেসবুক আইডি থেকে ইসলামের নবীকে (স.) নিয়ে অবমাননা করা হয়েছে। সদ্য রংপুরে জনৈক হিন্দুযুবক তার ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম বিদ্বেষী কমেন্ট করেছে। ধারাবাহিকভাবে এসকল ঘটনার কারণে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে উত্তেজিত ব্যক্তিদের দ্বারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে, মন্দির-প্রতিমা ভাংচুর ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটছে। এর
কোনোটিই ইসলাম সমর্থন করে না।

সর্বশেষ স্মারক লিপিতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! শান্তি সৃংখলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বের করার ব্যবস্থা করুন এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে ভবিষ্যতে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার ঘৃণ্য ধারাবাহিকতা বন্ধ করুন। আমরা আপনার সার্বিক কল্যাণ, সুসাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ