আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে গত ১৩ দিনে ৩৭৬ জনের কারাদণ্ড হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। অভিযান চলার সময় ১৩ দিনে ৭ লাখ ৮২ হাজার ৯৯১ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ। এ নির্দেশনা অমান্য করায় নেওয়া হচ্ছে আইনানুগ ব্যবস্থা। নিষেধাজ্ঞার এ সময়কে ঘিরে বিভাগের ছয় জেলার জেলে পরিবারের জন্য ৬ হাজার ৯৪২ দশমিক ৪৮ টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতি পরিবার ২০ কেজি করে চাল পেয়েছে।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রক্ষায় বিভাগে মোট ৫৫৫ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। অভিযান পরিচালিত হয় ১ হাজার ৫৫৩টি। এসব অভিযান থেকে ৫ দশমিক ৯৮৪ টন ইলিশ আটক করা হয়। অভিযানে প্রায় ৩৭ দশমিক ৩৫৭ লাখ মিটার দৈর্ঘ্যের কারেন্ট জাল আটক করা হয়।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অভিযানে উপকূলীয় এলাকার তুলনায় বরিশাল নদী অঞ্চলে এবার বেশি জেলের কারাদণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় মাত্র একদিনে ২৫ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ঝালকাঠি ১ জন ও ভোলায় ৪ জন।এ নিয়ে গত ১৩ দিনে ৩৭৬ জনের কারাদণ্ড হয়েছে।
অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, বরিশাল বিভাগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অভিযান পরিচালনা কালে গত ১৩ দিনে ৩২৯টি অবতরণ কেন্দ্র, ২ হাজার ২৮১টি মাছঘাট, ৪ হাজার ৪৮৪টি আড়ত, ৩ হাজার ৬৭১টি বাজার পরিদর্শন করা হয়। এছাড়া মামলা হয়েছে ৪৬২টি। জরিমানা করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭৬৩ লাখ টাকা। নিলামকৃত আয় হয়েছে ১ দশমিক ৮০২ লাখ টাকা। এছাড়া মাত্র একদিনে ১টি নৌকা, ৫টি ট্রলার আটক ও ১টি বেড়জাল উদ্ধার করেছে বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর।
মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার জানান, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ মৌসুমে কেউ মাছ আহরণে নদীতে নামলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যবস্থা আরও কঠিন হতে চলেছে। কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
এনটি