আদিয়াত হাসান: গত বুধবার ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়া দিঘিতে হিন্দু মন্দিরে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গোপালগঞ্জ সদর ওলামা পরিষদ।
ওলামা পরিষদের মহাসচিব মুফতি শুয়াইব ইবরাহীম জানান, গোপালগঞ্জ সদর ওলামা পরিষদ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন আমরা গভীরভাবে উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, দেশের সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া এবং ইসলামের নবী, ধর্মগ্রন্থ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে উপহাস করা ষড়যন্ত্রকারীদের একটি ফ্যাশন এ পরিণত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে একের পর এক এ জাতীয় ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগে ভোলার বোরহানউদ্দিনে জনৈক হিন্দু নেতার ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষ করে পোষ্ট দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে ঘটানোর দ্বারা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ। এদেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা শান্তি ও নিরাপদে বসবাস করছে এবং তারা তাদের ধর্ম নিরাপদে পালন করতে পারছে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে সংখ্যালঘুদের দ্বারা ইসলাম ও মুসলমানদের অবমাননার ঘটনা খুবই ন্যক্কারজনক এবং উদ্বেগজনক। সরকারের প্রতি আমাদের দাবি এই ধরনের আর কোনো ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে এবং ধর্মপ্রাণ জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ফলে জনগণ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।
বিবৃতিদাতাগণন- গোপালগঞ্জ ওলামা পরিষদ এর সভাপতি মাওলানা নাসির আহমাদ যুক্তিবাদী, মাওলানা ফখরুল আলম, মাওলানা মোঃ আবুল কালাম, মাওলানা আবদুল্লাহ, মাওলানা কামালুদ্দিন, মুফতী শুয়াইব ইবরাহীম, মুফতি গাউসুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সমাদ, মাওলানা আহমাদ আবু ওবায়দা, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা শরীফ আনিসুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মুফতি আহমাদুল্লাহ, মাওলানা হাফিজুল ইসলাম শাহীন, প্রমুখ উলামায়ে কেরাম।
-কেএল