আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বোয়ালখালী এলাকায় নারায়ণ মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসবের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে তাদের তিন বেলার খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায়। অনন্য সম্প্রীতির এমন নিদর্শন দেখা গেছে পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায়।
শুধু এবার নয় দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সম্প্রীতির এমন ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে দীঘিনালার বোয়ালখালীর ইসলামিয়া মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানা।
তবে দুর্গা পূজাই নয়, রাস উৎসব ও মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠানেও সার্বজনীন খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করে আসছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, দীঘিনালার বোয়ালখালী এলাকায় রাস্তার এক পাশে নারায়ণ মন্দিরে চলছে শারদীয় দূর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা অপর পাশে বোয়ালখালী ইসলামিয়া মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানা। পাশাপাশি দুই প্রতিষ্ঠান হলেও সব কিছু যেন স্বাভাবিক। কারও উৎসব বা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় কারও বিরক্তিবোধ নেই। বরং প্রতিবেশীর মতো পাশে দাঁড়িয়ে আছে এ দুই প্রতিষ্ঠান।
গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া শারদীয় দূর্গোৎসবের নিরাপত্তার দায়িত্বে আসা পুলিশ সদস্যদের খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে মাদরাসা থেকে।
বোয়ালখালী নারায়ণ মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক মো. খলিলুর রহমান জানান, ৫ সদস্য নিয়ে তিনি সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রীতির অনন্য যে নজির তিনি এখানে দেখেছেন তাতে বিস্মিত তিনি। পুলিশ সদস্যদের প্রতি বেলায় খাবার দেয়া হচ্ছে মাদরাসা থেকে।
বোয়ালখালী নারায়ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মৃদুল কান্তি সেন বলেন, মন্দির ও মাদরাসার পাশাপাশি এ সহাবস্থান ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমাদের বিভিন্ন উৎসব ও পূজায় সহযোগিতা করছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। মাদরাসার বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আমরা যাই।
বোয়ালখালী মাদরাসার পরিচালক আব্দুল্লাহ মেহেরী বলেন, আমাদের ধর্ম ইসলাম ও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। মাদরাসায় দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এমন সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমিও খুশি। দুর্গাপূজা কিংবা রাস উৎসবসহ মন্দিরের প্রতিটি উৎসবে যদি আমাদের কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন পড়ে আমরা সহায়তা করি।
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাশেম বলেন এ উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট সুদীর্ঘ কাল ধরে।
এনটি