আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তুরাগ নদে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও এক নারী ও তার মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে রূপায়ন বেগম (৩০) নামে ওই নারীর মরদেহ আমিনবাজার সেতুর নিচে ভেসে ওঠে। আর তার ৩ বছরের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয় মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে।
আমিনবাজার থানার নৌ পুলিশ বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, এ নিয়ে মোট সাতজনের লাশ উদ্ধার হলো। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রূপায়ন বেগম ও তার মেয়ে ছাড়া উদ্ধার হওয়া বাকিদের মধ্যে ছিলেন শিউলি আক্তার (২০), ইমরান (৩), ফারহান মনি (৪), আরমান (৪)। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি। সেই সঙ্গে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩ জন।
এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় গতকাল উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে তুরাগ নদে কয়লার ঘাট এলাকায় মাঝ নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি তলিয়ে যায়। ডুবে যাওয়ার সময় ওই নৌকার নারী-শিশুসহ ১৭ থেকে ১৮ জন যাত্রী ছিল। এ সময় কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও শিশু নারীসহ ৭ জন নিখোঁজ ছিল। খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর ডুবুরি দল। অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ অংশ নেয়। পরে তীব্র স্রোত ও আলোক স্বল্পতার কারণে সন্ধ্যা ৬ টায় প্রথম দিনের অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস। আজ রবিবার ভোর ৬ টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
এনটি