মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

S P C ও রিং আইডি থেকে ইনকাম জায়েজ আছে কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বর্তমানে তরুণরা সহজে ইনকামের জন্য S P C ও রিং আইডিসহ বেশকিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম খুঁজে নিচ্ছে? শরিয়তে এই ইনকামের বৈধতা আছে কি?

উত্তর: S P C এর পূর্ণ রূপ হল, “সুপার পাওয়ার কমিউনিটি”। এটি মূলত একটি নতুন মোড়কে এমএলএম তথা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানী।

প্রথমে প্লে স্টোর থেকে তাদের এ্যাপটি ডাউনলোড করতে হয়। ডাউনলোড শেষে প্রথমে ১২০০/= (বারশত টাকা) দিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করতে হয়। বা আইডি খুলতে হয়।

তারপর থেকে আপনি তাদের সাইটে দেয়া চার সেকেন্ডের পাঁচটি বিজ্ঞাপন দেখলেই অর্থাৎ মাত্র ২০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করলেই আয় হবে ১০ টাকা। অর্থাৎ মেম্বার হবার সময় দেয়া সেই টাকা উঠে আসবে ৬০ দিনে। এমনি চটকদার কোম্পানী হল, এসপিসি।

এখানে অন্য কাউকে এসপিসির সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করলে যদি উক্ত ব্যক্তি তা গ্রহণ করে থাকে, তাহলে এর উপরও ৪০০/= (চারশত টাকা) বেনিফিট দেয়া হয়ে থাকে।

তাছাড়াও আপনার যদি একটি রয়েল অ্যাকাউন্ট থাকে অর্থাৎ একটি একাউন্ট এর নিচে ১৩টি একাউন্ট থাকে সেক্ষেত্রে কোম্পানির লাভের ২০% কমিশন প্রতিদিন আপনার ওয়ালেট এ জমা হবে। মূলত এভাবে এখান থেকে ইনকাম করা যায়।

শরয়ী বিধান-
এসপিসিসহ এ জাতীয় যত কোম্পানী আছে সব কোম্পানীর লেনদেন ও কারবার সবই হারাম ও নাজায়েজ। তাই এসব থকে বিরত থাকা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক। শরয়ী অনেকগুলো কারণেই এসব কোম্পানীর কার্যক্রম জায়েজ নয়। যেমন-

এক- এতে এমন সব লোকেরা বিজ্ঞাপনগুলো দেখে থাকেন, যাদের উক্ত পণ্যটি কেনার কোন ইচ্ছে নেই। বরং ক্রেতার কাছে উক্ত পণ্যটির চাহিদা দেখানোর জন্য ভিউ বেশি বুঝাতে ক্লিক করে ভিউ বাড়ানো হয়ে থাকে। যা মূল ক্রেতার সাথে এক প্রকার প্রতারণা। যা জায়েজ নেই।

দুই- ওসব বিজ্ঞাপনে নারীদের ছবি হয়ে থাকে। যা দেখার দ্বারা চোখের যিনা হয়ে থাকে।

তিন- এতে এমএলএম এর মত নাজায়েজ বিষয় শামিল। যা অনেকগুলো কারণেই নাজায়েজ।

যেমন-
ক) এতে কর্ম ছাড়াই পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।
খ) কর্ম থাকার পরও পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না।
গ) ধোঁকা ও প্রতারণা শামিল।
ঘ) এক চুক্তিতে একাধিক চুক্তি শামিল।
ঙ) বাই এবং শর্ত একসাথে পাওয়া যায়।

ইত্যাদি অনেক কারণেই এমএলএম ব্যবসা নাজায়েজ। সূত্র- আহলে হক মিডিয়া।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ