আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধে নতুন করে চুক্তির মাধ্যমে স্ক্যানিং মেশিনটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি পণ্য প্রবেশদ্বার বাইপাস সড়কে এ স্ক্যানিং মেশিনটি উদ্বোধন করেন কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান।
জানা যায়, বাংলাদেশ-চায়না বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে তিন বছর আগে ৪টি স্ক্যানার মেশিন বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে দেয় চীন সরকার। ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশদ্বারে এর একটি মেশিন বসানো হয়। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম।
মেশিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস বিনামূল্যে প্রায় ৬ মাস পরিচালনা করে। কিন্তু পরবর্তীতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে তাদের সাথে চুক্তিতে না আসায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এবার নতুন করে আবার কাস্টমস ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করে স্ক্যানিং মেশিনটি চালুর জন্য উদ্বোধন করেন।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, নিরাপদ আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে স্ক্যানিং কার্যক্রম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কিছু দুনীতিবাজ ব্যবসায়ী আছেন যারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অনিয়মের টেষ্টা করে থাকে৷ এক্ষেত্রে বন্দরে স্ক্যানিং মেশিনটি চালুতে আমরাও অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারব। এতে বাণিজ্যে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বাড়বে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, টেন্ডার সংক্রান্ত কিছু জটিলতায় বেশ কিছুদিন স্ক্যানিং মেশিনটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখন নতুন চুক্তিতে আবার সেটি চালু করতে উদ্বোধন করা হয়েছে। নিরাপদ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘স্ক্যানার মেশিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখন থেকে নিয়মিত কার্যক্রম চলবে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার এ্যাসোসিয়েটসের ইঞ্জিনিয়ার শপু বড়ুয়া জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে নতুন করে দু’বছরের চুক্তিতে স্ক্যানিং মেশিনটি উদ্বোধন হয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা কাস্টমসের দিক নির্দেশনায় বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকে স্ক্যানিং কার্যক্রম শুরু করবেন।
-এএ