মাওলানা মুহাম্মাদ আনওয়ার হুসাইন।।
মুমিনের প্রতিটি কাজই ইবাদত। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমায়, তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়। রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী পড়া হলে তার জন্য আল্লাহ তাআলা একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন। যিনি পূর্ণ রাত তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন। সহীহ বুখারীতে আবু হুরায়রা রা. হতে একটি দীর্ঘ হাদীসে এসেছে-
إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الكُرْسِيِّ، لَنْ يَزَالَ مَعَكَ مِنَ اللهِ حَافِظٌ، وَلاَيَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ
যখন তুমি শয্যা গ্রহণ করবে তখন আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে। তাহলে সর্বদা আল্লাহ্র পক্ষ হতে তোমার জন্য একজন হেফাযতকারী থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত তোমার নিকট শয়তান আসতে পারবে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০১০
এছাড়া আয়াতুল কুরসী অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ একটি আয়াত। হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী কুরআন মাজীদের সর্বাধিক ফযীলতপূর্ণ আয়াত এটি।
ঘুমের পূর্বে সূরা কাফিরূন পাঠ করা
সুনানে আবী দাউদে হযরত নাওফাল আশজায়ী রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন-
اقْرَأْ قُلْ يَاأَيُّهَا الْكَافِرُون ثُمَّ نَمْ عَلَى خَاتِمَتِهَا، فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ
তুমি قُلْ یٰۤاَیُّهَا الْكٰفِرُوْنَ সূরাটি পড়ে ঘুমাও। কেননা তা শিরক থেকে মুক্তকারী। -সুনানে আবী দাউদ, হাদীস ৫০৫৫
ঘুমের পূর্বে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া
আবু মাসঊদ রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
مَنْ قَرَأَ بِالْآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِسُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ.
যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করবে তার জন্য তা-ই যথেষ্ট হবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০০৯
এনটি