শায়েখ মাহমুদুল হাসান।।
ব্রিটেনের বাংলাদেশি ইসলামী স্কলার ও মিডিয়া-ব্যক্তিত্ব।
জ্ঞান বিতরণ ও ইলম প্রসারে যে সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে— তারচেয়ে বড় সম্মান হতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন-
الْأَكْرَمُ، الَّذِيْ عَلَّمَ بِالْقَلَمِ، عَلَّمَ الإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ.
অর্থ: ‘আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।‘
এটা তাঁর পূর্ণাঙ্গ অনুগ্রহের প্রামাণ্যতা বহন করে।
কেননা, তিনি তার বান্দাদের এমন কিছু শিক্ষা দিয়েছেন— যেটা তারা জানত না। তিনি অজ্ঞতার পথ অমানিশা থেকে তাদের— জ্ঞানের আলো-জ্বলমলে পথ দেখিয়েছেন। (আল-বাহরুল মুহিত লি-আবি হাইয়ান আল-আন্দালুসি, খণ্ড ২৫, পৃষ্ঠা : ৪৭৩)
দীনি ইলম অর্জনের গুরুত্ব বৃষ্টির কারণে জমিন যেভাবে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হয়। তেমনি দ্বীনি ইলম অর্জনের কারণেই মানুষের সব নৈতিক ও মানবিক গুণগুলো অর্জিত হয়। বৃষ্টি ব্যতিত যেমন জমিন থেকে ভালো ফসল উৎপন্ন হয় না, ঠিক দ্বীনি জ্ঞান ব্যতিত মানুষও আল্লাহ তাআলার ইবাদাত-বন্দেগি করতে সক্ষম হয় না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া কোনো মানুষ দেখতে চায়, সে যেন আল্লাহ তাআলার দ্বীনের জ্ঞান অর্জনকারী ব্যক্তির দিকে তাকায়। তিনি শপথ করেন বলেন- কোনো আলেমের দরজায় যখন কোনো জ্ঞান অন্বেষণকারী দ্বীন শিখতে যায়, তখন তার প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময় এময় বছরের ইবাদতের সাওয়াব লেখা হয়।
জান্নাতে তার জন্য একটি শহর তৈরি করা হয়। সে যখন জমিনে বিচরণ করে, জমিন তার জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। আর তার উপর এমন অবস্থায় সকাল-সন্ধ্যা হয় যে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন। আর ফেরেশতারা সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, তারা দোজখ থেকে নাজাত পাওয়া দল।
-এটি