আহমদ আলী।।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন ক্লাস চলতো মাদরাসায়। হাফ ক্লাসের কারণে বৃহস্পতিবারটা একটু বেশি আনন্দঘন মনে হতো রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদরাসার নাহবেমীর জামাতের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে। করোনার সংক্রমণ কারণে লম্বা সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে আজ আবার মাদ্রাসা খুলেছে, এখন থেকে আবারও আব্দুল্লাহ-আল-নোমান উপভোগ করবে বৃহস্পতিবার-এর আনন্দ ও শুক্রবারের ছুটি।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহারসহ বাড়তি সতর্কতা চোখে পড়েছে আজকে মাদরাসায়। উপস্থিত সবার মুখেই ছিল মাস্ক।
আব্দুল্লাহ-আল-নোমান বলছিল, দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম, এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না, বাবা-মার কত বারণ, অপেক্ষায় থাকতাম কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, সেই অপেক্ষার শেষ হলো আজ, মাদ্রাসায় আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে, এখন থেকে নিয়মিত ক্লাস হবে, বন্ধুদের সাথে গল্পগুজব করা যাবে। আবদুল্লাহ আল নোমানের ভাষায়, মাদ্রাসায় পড়াশোনা এবং বন্ধুদের সাথে যতটা মজা করে সময় কাটানো যায়, তা অন্য কোথাও হয়না।
মাদ্রাসায় সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারার এ আনন্দ শুধু আবদুল্লাহ আল নোমানের নয়, পুরো দেশের শিক্ষার্থীদের।
যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার আরেক শিক্ষার্থী সাঈদ সালমান তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, 'দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। আজকে প্রথম ক্লাস ছিল, একদম ভিন্ন রকন অনুভূতি। বিশাল আয়তন আর সুন্দর আয়োজনে চলছে ক্বালা হাদ্দাসানার দরস। এর থেকে নয়নাভিরাম দৃশ্য দুনিয়ায় আর কী হতে পারে?
যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার দায়িত্বশীল এক শিক্ষক জানান, দীর্ঘদিন পর আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলল, এতদিন শিক্ষার্থীদের সাথে নানা উপায়ে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছিল, তবে এবার সরাসরি তাদেরকে দেখতে পাচ্ছি, এতে যে প্রশান্তি রয়েছে তাতো বলে বোঝানোর মত নয়।
তিনি আরো জানান, মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করছি।
দেশের মাদ্রাসাসহ প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ দেখা গেছে উৎসবমুখর পরিবেশ। শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেছেন, দীর্ঘদিন পর একসাথে হওয়ার আনন্দ অনুভূতি শেয়ার করেছেন।
এনটি