আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের মানবিক সহায়তায় দাতা সংস্থাগুলোর শুরুতে আগ্রহ থাকলেও দিনে দিনে কমছে সহযোগিতার পরিমাণ। এমন পরিস্থিতিতে কাজ করতে অর্থের যোগানে বিকল্প পথ খুঁজছে উন্নয়ন সংস্থাগুলো।
১৯৯২ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতন, দমন পীড়নের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেখানকার নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দিতে শুরু থেকেই কাজ করছে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি।
২০১৭ সালে আরেক দফা প্রায় এগার লাখ শরনার্থী এদেশে আশ্রয় নিলে অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থার মতো মানবিক সহায়তা দিতে দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তায় আবাসন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ নানা সহযোগিতা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। শুরুতে ত্রিশটির বেশি দাতা সংস্থা রেডক্রিসেন্টের সাথে মানবিক সহায়তায় কাজ করলেও কমতে কমতে তা এগারোতে এসে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক এম এ হালিম বলেন, শুরুতে অনেক প্রতিস্ঠান কাজ করলেও ধীরে ধীরে সেই সংখ্যাটা কমে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে সহায়তা করাটাও অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়না।
এদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ক্যাম্প এলাকার নির্দিষ্ট সীমানায় অবস্থান নিশ্চিতে সেনাবাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যেও মাঝে মাঝেই ঘটছে নানা অপরাধ কর্মকান্ড। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন উন্নয়ন সংস্থার কর্মিরা।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সিনিয়র কমিউনিকেশনস অফিসার সাবরিনা ইদ্রিস বরেন, এই এলাকাটি পাহাড়ি হওয়ায় অনেককেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার বলেন, অফিসের সময় ৯টা থেকে ৫টা হলেও আমাদের কর্মীদের আমরা তিনটার মধ্যেই ফিরে আসতে বলি। যাতে তারা নিরাপত্তার মধ্যে থাকে এবং কিছুটা স্বাভাবিক থাকেন।
সহায়তার পরিমাণ কমে আসলেও সরকারের সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আসছে বছর শরনার্থীদের মানবিক সহায়তায় বিদেশিদাতা সংস্থা ছাড়াও দ্বারস্ত হচ্ছে দেশি সংস্থাগুলো ওপরও।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মোহাম্মদ ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেন, শুধু দেশের বাইরে থেকে নয়, দেশের মধ্যেও অনেক সংস্থা বা ব্যাংক রয়েছে যারা এই সকল কাজে সহায়তা করে থাকে, তাদেরকে যদি বোঝাতে পারি তাহলে স্থানীয়ভাবেই অনেক আর্থিক সহায়তা আমরা পেতে পারি।
-এটি