আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মধু (৫৮)। সততা ও আদর্শের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। বর্তমানে এ চেয়ারম্যান প্রচণ্ড অর্থকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
গতকাল বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
জানা যায়, নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি আ.লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান হন। এরপর ২০০৩ ইউপি নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়তে ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। তবে সে নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি। ২০১১ সালে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন।
সব মিলিয়ে ১৮ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে তার আর্থিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় বুধবার রাতে কিছু ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। লিভার ওয়াশ করে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
জাহাঙ্গীর আলমের ভাতিজা সুলতান আহমেদ বলেন, চাচা সারাজীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। পরিবারের কথা না ভেবে নিজের উপার্জিত অর্থ মানুষের জন্য ব্যয় করেছেন। এখন তিনি নিজেই অর্থকষ্টে ভুগছেন। এ কারণে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
এমডব্লিউ/