আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে মডেল মসজিদ নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। চারতলার এ মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নিম্নমানের ইটের সলিং বিছানোর অভিযোগে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রামানন্দ পাল।
উপজেলা পরিষদের সামনে এবং শহরের প্রাণকেন্দ্রে এ মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় গত বছরে।
এলাকাবাসী জানান, গত বছর মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। দীর্ঘদিন নির্মাণ বন্ধ থাকার কারণে প্রতিটি রডে মরিচা পড়ে গেছে। এভাবে নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার ফলে এসব রডের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। ঠিকাদারকে কাজ করতে তাড়া দেবে এ রকম কোনো মানুষ নেই বা কোনো কর্মকর্তারও দেখা মেলে না।
তবে সম্প্রতি আবার কাজ শুরু হয় মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নিম্নমানের ইট দিয়ে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খরব দিলে তিনি নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেন। চলতি বছরের মধ্যেই মসজিদ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতিতে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা ৪৩২যায়, চারতলা এ মডেল মসজিদের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৩ টাকা। গত বছরের জুলাই মাসে ঝিনাইদহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস লিটন ট্রেডাস এই নির্মাণকাজ শুরু করে। প্রায় এক বছর পার হলেও কাজের অগ্রগতি মাত্র ১৫ শতাংশ। ১৮ মাসে মডেল মসজিদের নির্মাণ সময়সীমা দেওয়া হলেও এমন ধীর গতিতে কাজ চললে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নির্মাণ শেষ করা যাবে না। এতে মসজিদটির নির্মাণ কাজ অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে।
এনটি