মাকসুদুর রহমান সাইমন রশীদি।
আশরাফ আলী থানবী রহ. বলেন,জিকিরের মধ্যে মন বসুক চাই না বসুক,নিয়মিত তা করে যাবে। ধীরে ধীরে জিকিরের এমন অভ্যাস হয়ে যায় যে,জিকির ছাড়া শান্তিই পাওয়া যায় না। যেমন, প্রথম প্রথম হুক্কা পান করতে মাথা ঘুরায়,অস্বস্তি লাগে, বমিও হয়। কিন্তু পান করতে করতে এমন অবস্থা হয়ে যায় যে, খাবার মিলুক বা না মিলুক, দুই সিলিম তামাক যেন মিলে।
একবার থানভী রহ. বলেন,উপকার তো শুরু থেকেই হতে থাকে। কিন্তু তা বুঝা যায় না। যেমন একটি শিশু প্রতি দিনই কিছু না কিছু বড় হয়, কিন্তু বোঝা যায় না যে আজ এতটুকু বড় হলো,কাল এতটুকু বড় হলো।
কিন্তু একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর তার অতীতের অবস্থাকে চিন্তা করে তুলনা করা হলে আকাশ-পাতাল পার্থক্য দেখা যায়।
জিকিরের অবস্থাও একই রকম।প্রথম দিকে মনে হয়,যেন কোন উপকার হচ্ছে না। অথচ প্রকৃত পক্ষে অবিরাম উপকার হচ্ছে।
একবার বলেন,পাথরের উপর এক ফোঁটা পানি পড়ে, তারপর দ্বিতীয়,তারপর তৃতীয়। এমনকি পানি পড়তে পড়তে তার মধ্যে গর্ত সৃষ্টি হয়। তাই কি বলা হবে যে,শেষ ফোটা গর্ত সৃষ্টি করেছে। মোটেই নয়।
বরং গর্ত করার মধ্যে প্রথম ফোটারও তেমনই দখল রয়েছে, যেমন দখল রয়েছে শেষ ফোঁটার। প্রথম ফোটাকে কখনোই প্রভাব শূন্য মনে করা উচিত নয়।
একই ভাবে প্রথম দিনের জিকির-যাকে ফলশূন্য মনে করা হয়-মোটেই ফলশূন্য নয়।পরিশেষে যে বিশেষ অবস্থা সৃষ্টি হবে,তার মধ্যে প্রথম দিনের জিকিরেরও সেই পরিমাণ দখল রয়েছে, যে পরিমাণ রয়েছে শেষ দিনের জিকিরের।
-এটি