আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাকুরতলা ও জালালপুর গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে দুই গ্রামের ২০টি বসতবাড়ি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। মানুষজন সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে। ভাঙনের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে অনেকেই তাদের বসতঘর, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। পানিবন্দী অসহায় মানুষেরা তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে।
এছাড়া জেলার করতোয়া, ইছামতী, ফুলজোড়, গোহালা, চিকনাই, হুরাসাগর ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কাজীপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অধিকাংশ কাঁচা রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের বিষয়টি শুনেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বালুভর্তি জিওটেক্স বস্তা ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলার ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক উপজেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে মজুত পাঁচশত মেট্রিক টন চাল পর্যায়ক্রমে পানিবন্দীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
-এএ